# নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি……………………………………………………..
আলুর উর্ধ্বগতির মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আসা আমাদানি করা আলু রাজশাহীর হিমাগারে মজুত করছে শ্রমিকরা। এসময় বস্তা পরিবর্তন করে দেশীয় আলুর সাথে ভারতীয় আলু হিমাগারে রাখা হচ্ছে। বাজারের ঘাটতি মেটানোর জন্য এ কাজ করা হচ্ছে বলে জানাগছে।
রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এবার ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ৩৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর রাজশাহীতে ১০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন। কম আলু উৎপাদন হওয়ার কারণে রাজশাহীর বেশ কিছু হিমাগারের চার ভাগের এক ভাগ ক্যাপাসিটি (সংরক্ষণের সক্ষমতা) খালি রয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা আলু সেখানে মজুত করা হচ্ছে।
জেলার পবা উপজেলার বায়া এলাকার হিমালয় হিমাগারের সামনে শেডের সবটা জুড়ে প্লাস্টিকের লাল বস্তায় ভরা ভারতীয় আলু। আলুর বস্তার গায়ে লাগানো লেবেলে ভারতের বর্ধমানের ঠিকানা লেখা রয়েছে। আকারে বড় ঘিয়ে রঙের এই আলু শ্রমিকেরা ভারতীয় বস্তা বদল করে দেশীয় পাটের বস্তায় ভরছেন। বস্তা ভরার কাজ তদারক করছিলেন হিমাগারের ব্যবস্থাপক হারুণ-অর-রশিদ।
আমদানি করা আলু মজুত করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজশাহীতে এবার আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। অক্টোবরের শেষের বৃষ্টির কারণে আলু ছোট হয়েছিল। তাদের হিমাগারের এক-চতুর্থাংশ খালি রয়েছে।
উল্লেখ্য,ভারত থেকে আমদানির পরও কমছে না আলুর দাম। রাজশাহীর ৩৬টি হিমাগারে এখনো আলু মজুত আছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বস্তা। হিমাগারগুলোতে বিপুল পরিমাণ আলু মজুত থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করছিলেন না। অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে আলুর দাম বাড়তে থাকে। তিন মাস আগেও প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে তা বেড়ে হয় ৬০ টাকা কেজি।#