জি,এম,আমিনুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের শিকারী চক্র থেকে জবাইকৃত একটি সিংহল (পুরুষ) হরিণ উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২৭টি ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। তবে, বনকর্মীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বনের মধ্যে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় চার সদস্যের শিকারী চক্রটি।
রবিবার (২৬শে জানুয়ারি) রাতে মীরগাং টহল ফাঁড়ি সদস্যরা তাদের অফিসের প্রায় সাতশ গজ দূরবর্তী এলাকা থেকে হরিণটি উদ্ধার করেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জার হাবিবুল ইসলাম।
এদিকে, উদ্ধারকৃত হরিণ আলামত হিসেবে আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি এঘটনায় মীরগাং টহল ফাঁড়ির ওসি গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জার হাবিবুল ইসলাম জানান, নিয়মিত টহলকালে মীরগাং টহল ফাঁড়ির সদস্যরা বনের মধ্য থেকে জবাইকৃত একটি হরিণ উদ্ধার করে। সোমবার আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে হরিণটি মাটিতে পুঁতে ফেলে নষ্ট করেছে। হাবিবুল ইসলাম আরও জানান, জবাইকৃত হরিণ উদ্ধার করে বনবিভাগের অফিসে নিয়ে আসার পর থেকে মীরগাং গ্রামের আনিছুর ও তার সহযোগীরা বনকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। বনবিভাগের অফিসে হামলাসহ এলাকায় কোন টহল পরিচালনা করতে না দেয়ার হুমকিও দিচ্ছে তারা।
চারদিন আগে সুন্দরবনের মধ্য থেকে আরও ৪০টি ফাঁদ উদ্ধারের পর একই চক্রের সদস্যরা স্থানীয় এক সিপিজি কর্মীকে মারধর করেছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে মীরগাং গ্রামের আনিছুর রহমান হরিণ শিকারের কথা অস্বীকার করে জানান, তিনি সুন্দরবনে যাতায়াত করেন না। তবে ফাঁদ ও হরিণ উদ্ধারের পর বনকর্মীদের হুমকি দেয়াসহ সিপিজি সদস্যকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চুনকুড়ি গ্রামের আনিছুর রহমান, আব্দুর রহিম সরদার, সাহেব আলী মোড়ল ও আবিয়ার রহমান সুন্দরবনে হরিণ শিকারের সাথে জড়িত। গত চার/পাঁচ মাস ধরে ওই চারজনের নেতৃত্বে চুনকুড়ি ও মীরগাং এলাকা সংলগ্ন সুন্দরবনে দেদারছে হরিণ শিকার হচ্ছে। বনকর্মীদের অভিযানে সম্প্রতি কিছু ফাঁদ আটকের পর থেকে শিকারী চক্রের সদস্যরা বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যদের উপর হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও তাদের দাবি।#