শাহরিন সুলতানা সুমা,গাইবান্ধা……..
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬ নং সর্বানন্দ ইউনিয়নের ওয়ার্ড নং ১ উত্তর সাহাবাজ কাঠগড়া ব্রিজ পার্শ্ব থেকে কাঠগড়া গ্রামের আবুল হোসেন পুত্র মোঃ আজম মিয়া একই এলাকার মোঃ আব্দুল মতিন ওরফে মতির পুত্র মোঃ রুবেল মুন্সী দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোঃ মমিনুল ইসলাম মন্ডল শোভাগন্জ শান্তিরাম ওয়ার্ড নং ৩, কালিতলা গ্রামে , গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বেআইনি কৃষি জমি কাঁকড়া দিয়ে প্রতিদিন মাটি উত্তোলন করছে। এক ই এলাকার আলিম ভাঙ্গির পুত্র মোঃ জাহেদুল ওহেদুল ইসলাম। ওহেদুল পুত্র মোঃ বাবু মিয়া, এলাকাবাসী জানান, সর্বানন্দ ইউনিয়নের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বিল্পব চন্দ্র মোদক ছুটে গিয়ে ছবি ধারণ করে জমির মালিক মোঃ রুবেল মুন্সীর নিকট ৩ হাঁজার টাকা সেলামী নেওয়ার বিষয়টি এলাকায় ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানান।
অপরপক্ষে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাংগা মোড় এর ৪০০ মিটার পশ্চিম পার্শ্বে ঘাঘট নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন আফসার উদ্দীনের পুত্র জহুরুল ইসলাম। ঘুষ বাণিজ্য চলছে। গাইবান্ধা বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে ডেজার ও কাঁকড়া দিয়ে সাদুল্যাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বালু উত্তোলন কাঁকড়া দিয়ে মাটি খোঁড়া কাজ করছেন।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা , উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুন্দরগঞ্জ, সহকারী কমিশনার ভূমি সুন্দরগঞ্জকে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাহলে কি এরা সবাই এসব অবৈধ ও অন্যায় কাজের জড়িত নাকি এক শ্রেণির সুবিধাভোগীরা নাম ভাঙিয়ে চলছে। এরকম প্রশ্ন আজ সবার মনে মনে। চারিদিকেঅন্যায় অরাজকতা ছড়িয়ে পড়েছে কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ কিন্তু কেন? আপাতত মনে হচ্ছে সুন্দরগঞ্জের আইন শৃংখলা ভেঙ্গে পড়েছে। সমগ্র উপজেলায় ঘুষ, অনিয়ম ও দিুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন এদিকে নজর দিচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন যদি কোন রকম আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে খুব শিগগীরই এলাকাবাসি প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার কথা ভাবছে।
এদিকে এলাকাবাসি স্থানীয় প্রশাসনের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে প্রশাসন কোন কাজের কাজই করছে না। পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন অযুহাতে ব্যস্ততা দেখিয়ে অপরাধীদের মদদ দিচ্ছে। স্বৈরাচার দেশ থেকে পালালেও তাদের প্রেতাত্মারা বসে নেই, তারাই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, সমাজে অনিয়ম দুর্নীতি জিইয়ে রাখছে আর তারাই গোটা সমাজকে চুষে খাচ্ছে।
এবিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর, জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা , পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রধানের কাছে লিখিত আভিযোগ পাঠানো হয়েছে। #