শিবগঞ্জ কানসাট আমবাজারে অতরিক্তি টোল আদায়রে অভিযোগ
-
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ৬ জুন, ২০২২
-
১৬৮
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
# মো: নুরতাজ আলম, কানসাট, শিবগঞ্জ থেকে…………………………..
দেশের সর্ববৃহৎ আম বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জলোর শিবগঞ্জ উপজলোর কানসাট আম বাজার । আম মৌসুমেজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে এসে এই বাজারে বিক্রি করেন আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা । এই আমবাজার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয় আম । কিন্তু চলতি ২০২২ সালে আম মৌসুমে শুরুতেই আম বাজার মালিক পক্ষের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা । বিশেষ করে চালানরে অযোগ্য ছোট আকার ও অল্প মিষ্টি আমগুলো বিভিন্ন জুস কোম্পানীতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে ।
এক্ষেত্রে এসব আম ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য কানসাট আম বাজারে অন্তত ২০টি আড়ত রয়েছে যারা জুস আড়ত সমবায় সমিতির অধীন । কিন্তু চলতি বছর এই জুস আড়ত সমূহর উপর অন্যায়ভাবে কয়কে দফায় টোল চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আড়ত মালিক, ব্যবসায়ী ও চাষীরা । কানসাট জুস আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এলাকার ও বাজারের ছোট, অল্প মিষ্টি ও নষ্ট আমগুলো কিনে বিভিন্ন জুস কোম্পানীতে বিক্রি করে থাকি । আমাদের এই আমগুলো তুলনামূলক অনকে কম দামে ক্রয়-বিক্রি হয়ে থাকে । অথচ কানসাট আমবাজার মালিক পক্ষ আমাদের উপর অতরিক্তি টোল চাপিয়ে দিচ্ছে ।
বেশি দামী ও চালানরে উপযোগী ভালো আমে যেখানে টোল দিতে হয় একবার, আমাদরে কমদামী জুসের আমের উপর টোল দিতে হয় দু’বার । যার ফলে আমচাষী, ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে । লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসানরে আশংকা করছি আমরা । জুস আড়ত সমবায় সমিতির প্রচার সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসনে বলনে, সাধারণত আম ব্যবসায়ীরা আমবাজারে আম বক্রিি করলে তার খাজনা পরশিোধ করবে এটাই স্বাভাবকি । কন্তিু একবার খাজনা আদায়রে পর সইে আমটাই যখন আমরা গাড়িতে লোড করে বাইরে পাঠাচ্ছি তখন আবার গাড়ি আটকিয়ে ক্যারটে প্রতি ৬ টাকা করে আদায় করছে । এসময় চালানের আমের উপর একবার অথচ জুসের আমের উপর দু’বার খাজনা আদায়ের এই অসামঞ্জস্যতাকে চরম হয়রানি বলে উল্লখে করে জুস আড়তদাররা বলেন, পরিকল্পতিভাবে আমাদরেকে লোকসানরে মুখে ফেলার জন্য এভাবে জিম্মি করা হচ্ছে ।
এদিকে বাজার মালকিদের অযাচিত টোল আদায়ের অভিযোগ তুলে ক্যারেট ব্যবসায়ী মলিন আহমদে বলনে, আমাদরে দোকান থেকে সাধারণ মানুষ খালি ক্যারেট কিনে নিয়ে গেলে রাস্তায় আটকিয়ে তাদের কাছেও ক্যারেট প্রতি ৬ টাকা টোল আদায় করা হয় । এটা সর্ম্পূণ অন্যায় । খালি ক্যারেটে অহেতুক টোল আদায়য়ের ফলে মানুষ বাজার থেকে ক্যারেট কিনতে ভয় পাচ্ছে এবং বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্যারেটে ক্রয় করছে । যার ফলে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার এই ক্যারেট ব্যবসাও চরম হুমকরি মুখে । ক্যারেট ব্যবসায়ী মের্সাস ফোর স্টার ট্রেডের মালিক শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার নিজের আড়ত থেকে খালি ক্যারেট বের করে নিয়ে গেলেও গাড়ি আটকিয়ে প্রতি খালি ক্যারেটে ৬ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে । এটা সর্ম্পূণ অন্যায় । কানসাট বাজারে ক্যারেট ক্রয় করতে আসা আনারুল ইসলাম বলনে, আমি খাসরেহাট থেকে কানসাট বাজারে ক্যারেট কিনতে এসেছি এই ক্যারেট নিয়ে যায়।যেখানে আম নামিয়ে বিক্রি করবো সেখানে টোল দিব, কিন্তু তার আগেই ক্যারেট কিনার সময়ই আমার কাছে অগ্রিম ক্যারেট প্রতি ৬ টাকা করে আদায় করে নিলো।
অপরদিকে অসম্ভব টোল আদায়ের ফলে জুসের আম ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকায় দু:শ্চিন্তায় পড়ছেন আমচাষীরা । জানতে চাইলে আমচাষী ও বিক্রেতা মো: সাদ্দাম হোসনে চরম হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, গাছে আম পেকে যাওয়ায় সকাল ৭ টায় বাজারে আম নিয়ে এসেছি। এখন দুপুর সাড়ে ১২ টা বাজলো কোন ক্রেতা আম কিনছে না । এতগুলো আম এখন ফেলে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। । আবার ৩-৪ মণ চালানে ভালো আম নিয়ে আসলে আড়তদাররা বেছে বেছে নেয়ার পর কিছু আম থেকে যায়, যেগুলো আমরা জুস আড়তে বিক্রি করতে পারি । কিন্তু সেটার উপরে অতিরিক্তি টোল চাপার কারণে আর কিনছে না কেউ ।এক্ষেত্রে আমরা চরম লোকসানের মুখে পড়ছি ।
অযাচিতভাবে জুসের আম ও খালি ক্যারেটের উপর টোল আদায় বন্ধ করা না হলে আমচাষী, ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের কোটি কোটি টাকা লোকসান হবে উল্লখে করে আড়তদার ও ক্যারেট ব্যবসায়ীরা অতরিক্তি টোল আদায় বন্ধে জোর দাবী জানান । তবে সাধারণ নিয়মানুযায়ী চালানের আমের উপর যে টোল নির্ধারিত রয়েছে সেই টোল পরিশোধের কোন আপত্তি নেই বলে জানান তারা ।
প্রাণ কোম্পানরি আম সরবরাহকারী ইমাম হোসাইন ও:আমিরুল ইসলাম মিলন জানান, জুস আমের মতো নিম্ন মানের আমের উপর অতিরিক্ত খাজনা আদায়রে ফলে আমরা আম কিনতে পারছি না ।কোন সময় প্রতি মণ আমে ২৪ টাকা, আবার একই আম গাড়ি লোড করার সময় আবারো প্রতি মণে ২৪ টাকা খাজনা প্রদান এটা আমাদের কাছে দেয়া কস্ট হচ্ছে। ।
আকিজ কোম্পানীর আম সরবরাহকারী মাসুদ মাষ্টার ও একই অভিযোগ কররেন।
এদিকে কানসাট আম বাজার ইজারাদার আসাদুজ্জামান ভোদন বলেন, জুস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন । আমরা সরকারে দেয়া সিডিউল অনুযায়ীই টোল আদায় করছি । সেই সাথে ক্যারেটের উপর টোল আদায় বষিয়ে তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কানসাট বাজার থেকে টোল দিয়ে ক্যারেট কিনে যদি সেই ক্যারেটে কানসাট বাজারে আম বিক্রি না করে তাহলে আমরা তার টোল ফেরত দিবো । এসময় কানসাট বাজারে আরো বিভিন্ন পণ্য বিক্রি সিডিউলের চাইতে কম পরিমাণে টোল আদায় করা হয় বেলে দাবী করেন হাট ইজারাদার আসাদুজ্জামান ভোদন ।#
এডিট: আরজা/০৪
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ