ঢাকায় মনোনীত তিন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতগণ হলেন- ফিনল্যান্ডের কিমো লাহদেভির্তা, গুয়াতেমালার ওমর কাস্তানেদা সোলারেস এবং আয়ারল্যান্ডের কেভিন কেলি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসস’কে বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সকল দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং দু’দেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতদেরকে দ্বিপাক্ষিক সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি পারস্পরিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ প্রতিনিধি দলের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের কথা ও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিলেও বর্তমানে এটি একটি জটিল আর্থ-সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
তিনি রোহিঙ্গাদের সম্মানজনকভাবে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে বন্ধুরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে দূতগণ নিজ নিজ দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তাঁদের আগ্রহের কথা জানান।
তাঁরা সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’ এর ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
রিমেলসহ বাংলাদেশের নানা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকার এবং জনগণের সাফল্যের ও প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূতগণ।
রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।#বাসস