1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমণ খেতের ব্যাপক ক্ষতি খুলনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ভীতি প্রদর্শন ২জন আটক লবনচরা জবেদা রহমান মাদ্রাসায়  পবিত্র আল কোরআনের সবক প্রদান অনুষ্ঠান  শিবগঞ্জের কৃতি সন্তান ডা: সাইমুম পারভেজ এর সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিজিটাল মিডিয়া রাজনীতিতে পিএইচডি অর্জন  নাচোলে রিপনের প্রেমলীলায় মত্ত ছাত্রী, পাহাড়সম অভিযোগ এলাকাবাসীর অভয়নগরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মন্দির ধ্বংস করে ভৈরব নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, জনসাধারণের ভোগান্তি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান পঞ্চগড়ে বর্তমান কদর বেড়েছে মসলা দ্রব্য তেজপাতার তানোরে ব্যারিস্টার আমিনুল হক স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন  আমরা অপকর্ম করার জন্য রাজনীতি করি না : ভোলায় মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন

রামপালে স্বস্তির বৃষ্টি অস্বস্তিতে ফেলেছে বোরো চাষিদের

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৬৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ ইকরামুল হক রাজিব, বাগেরহাট: কথায় বলে ‘কারো পৌষ মাস, আর কারো সর্বনাশ’ এই প্রবাদটির বাস্তবতা এখন হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন বাগেরহাটের রামপালের বোরো চাষিরা। কারণ স্বস্তির বৃষ্টি চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে চাষিদের। দীর্ঘ তাপদাহের পর গত মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা ধানের পাজা, মাড়াই করা ধান ও খড় ভিজে একাকার হয়ে গেছে তাদের। বৃষ্টি পানিতে উঠান কর্দমাক্ত হওয়ায় ভেজা ধান, খড়-কুটা শুকাতে পারছেন না। ভেজা ধান আর খড় থেকে দুর্গন্ধ ছুটেছে। তারা। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে চাষিরা।

সামান্য রোদ পেলেই যে যার বাড়ির সামনের পাকা সড়কে নিয়ে ভেজা ধান, খড়-কুটা শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষান-কৃষানিরা। শনিবার (১১ মে) উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের আদাঘাট , সোনাকুড়, চিত্রা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাড়াই করা ধান এবং খড়ে ছেয়ে আছে পাকা সড়ক। কিষান-কৃষানিরা মিলে শুকাচ্ছেন সেসব বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া ধান এবং খড়। আগে মাঠে কেটে রাখা ভেজা ধানের পাজা আটি বেঁধে বাড়িতে নিচ্ছেন অনেকেই। আবার পাকা ধান দ্রুত কাটতে দেখা গেছে চাষিদের।

কাষ্ঠবাড়িয়া গ্রামের চাষি দিপন কুমার ও পল্লব হাওলাদার জানান, বৃষ্টি হওয়ায় পাকা নিয়ে তারা খুবই সমস্যায় পড়েছেন। মাড়াই করা ধান এবং খড় ভিজে গেছে। বাড়ির উঠান কাদা হয়ে গেছে। তাতে ধান শুকানোর কোনো উপায় নেই। তাই রাস্তায় এনে বাড়ির নারী-পুরুষ মিলে ধান এবং খড়-কুটা শুকানোর চেষ্টা করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা খোঁজ নিয়ে বোরো চাষিদের একই সমস্যার কথা জানা গেছে।

এব্যাপারে রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অলিউর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। তবে এখনো ধান নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা হয়নি। বৃষ্টি যদি লাগাতারভাবে হয় তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের ভর্তুকিমূল্যে দেওয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই এবং বস্তাবন্দির করার ফলে মাঠের বেশিভাগ ফসলই কাটা হয়ে গেছে। এখনো যা আছে তা দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা বলেন,এবছর রামপাল উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে চাষিদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টরে ৯ মেট্রিক টন করে ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন এবং দামও ভালো পাওয়ায় চাষিরাও খুশি। আগামীতে আরো ব্যাপক এলাকায় বোরো ধা নের চাষ হবে বলে আশাবাদী এই কর্মকর্তা।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট