1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সারিয়াকান্দির কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান রূপসায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভোলাহাটে উপজেলা প্রশাসন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পত্নীতলায় ভোরের ডাক ব্যায়াম সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে খানকা শরিফ ভাংচুরের অভিযোগ তানোরে এক রাতে দুই বাড়িতে  দুর্ধর্ষ ডাকাতি: স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রেতাদের প্রতারক বানিয়ে মিথ্যা মামলায় জেল, পুলিশ কর্মকর্তার অর্থ লেনদেনের তথ্য ফাঁস  বাগমারায় র‌্যাবের অভিযানে অ্যালকোহলযুক্ত বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার,  শীর্ষ ডিলার গ্রেফতার রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রামপালে স্বস্তির বৃষ্টি অস্বস্তিতে ফেলেছে বোরো চাষিদের

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ১৩৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ ইকরামুল হক রাজিব, বাগেরহাট: কথায় বলে ‘কারো পৌষ মাস, আর কারো সর্বনাশ’ এই প্রবাদটির বাস্তবতা এখন হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন বাগেরহাটের রামপালের বোরো চাষিরা। কারণ স্বস্তির বৃষ্টি চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে চাষিদের। দীর্ঘ তাপদাহের পর গত মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা ধানের পাজা, মাড়াই করা ধান ও খড় ভিজে একাকার হয়ে গেছে তাদের। বৃষ্টি পানিতে উঠান কর্দমাক্ত হওয়ায় ভেজা ধান, খড়-কুটা শুকাতে পারছেন না। ভেজা ধান আর খড় থেকে দুর্গন্ধ ছুটেছে। তারা। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে চাষিরা।

সামান্য রোদ পেলেই যে যার বাড়ির সামনের পাকা সড়কে নিয়ে ভেজা ধান, খড়-কুটা শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষান-কৃষানিরা। শনিবার (১১ মে) উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের আদাঘাট , সোনাকুড়, চিত্রা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাড়াই করা ধান এবং খড়ে ছেয়ে আছে পাকা সড়ক। কিষান-কৃষানিরা মিলে শুকাচ্ছেন সেসব বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া ধান এবং খড়। আগে মাঠে কেটে রাখা ভেজা ধানের পাজা আটি বেঁধে বাড়িতে নিচ্ছেন অনেকেই। আবার পাকা ধান দ্রুত কাটতে দেখা গেছে চাষিদের।

কাষ্ঠবাড়িয়া গ্রামের চাষি দিপন কুমার ও পল্লব হাওলাদার জানান, বৃষ্টি হওয়ায় পাকা নিয়ে তারা খুবই সমস্যায় পড়েছেন। মাড়াই করা ধান এবং খড় ভিজে গেছে। বাড়ির উঠান কাদা হয়ে গেছে। তাতে ধান শুকানোর কোনো উপায় নেই। তাই রাস্তায় এনে বাড়ির নারী-পুরুষ মিলে ধান এবং খড়-কুটা শুকানোর চেষ্টা করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা খোঁজ নিয়ে বোরো চাষিদের একই সমস্যার কথা জানা গেছে।

এব্যাপারে রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অলিউর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। তবে এখনো ধান নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা হয়নি। বৃষ্টি যদি লাগাতারভাবে হয় তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের ভর্তুকিমূল্যে দেওয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই এবং বস্তাবন্দির করার ফলে মাঠের বেশিভাগ ফসলই কাটা হয়ে গেছে। এখনো যা আছে তা দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা বলেন,এবছর রামপাল উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে চাষিদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টরে ৯ মেট্রিক টন করে ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন এবং দামও ভালো পাওয়ায় চাষিরাও খুশি। আগামীতে আরো ব্যাপক এলাকায় বোরো ধা নের চাষ হবে বলে আশাবাদী এই কর্মকর্তা।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট