1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলামের বিজয় কেউ রুখে দিতে পারবেনা: মুফতি ফয়জুল করিম রূপসায় আবু বক্কার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত বাগমারা ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জি: মাসুদের গণসংযোগ বাংলার আধ্যাত্মিক ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র:) রাজশাহীতে ফ্লাইওভারের নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার রাজশাহীর পবা থেকে সংঘবদ্ধ মাদকচক্রের ৩ সদস্যকে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার সাঘাটায় হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ডেভিল হান্ট তালিকা ভুক্ত হলেও প্রকাশ্যে ত্রাণ বিতরণ ‌ পুঠিয়ায় জবাইকৃত গাভীর পেট থেকে বাছুর , এলাকায় চাঞ্চল্য পুঠিয়ায় সপ্তাহব্যাপী মশকনিধন কর্মসূচি শুরু পৌর প্রশাসক শিবু দাসের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ

রাজশাহীর তাহেরপুরে দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থলে পুণ্যভূমির স্বীকৃতি নেই

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১১৫৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নাজিম হাসান…………………………………………………………….

বারো মাসে তের পর্বণ কথাটি হিন্দু স¤প্রদায়ের জন্য প্রচলিত থাকলেও শারদীয়া বা দূর্গা পূজাই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। হিন্দু স¤প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রথম শুরু হয় রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে।

গত ৫৩৮ বছর আগে সম্রাট আকবরের শাসনামলে তাহেরপুরের রাজা কংস নারায়ণ সে সময় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু করেন দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল হিসেবে তাই গর্ববোধ করেন তাহেরপুরের অধিবাসীরা। দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল হিসেবে ইতিহাসখ্যাত তাহেরপুর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যভূমির স্বীকৃতি আজও পায়নি। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায়ের জন্য হিন্দু স¤প্রদায়ের অনেক নেতারা অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।  তাদের মতে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তাহেরপুরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা গেলে প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপূজার সময় সারাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের মিলনামেলায় পরিণত হতো স্থানটি।

এদিকে ১৪৮০ সালে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম রাজা রাজশাহীর কংস নারায়ণ তাহেরপুরের তাহের খানকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। যুদ্ধজয়ের স্মৃতি ধরে রাখতে রাজ পুরোহিত রমেশ শাস্ত্রীর পরামর্শে রাজা কংস নারায়ণ দুর্গাপূজার আয়োজন করেন। তার আহবানে মা দুর্গা স্বর্গ থেকে সাধারণ্যে আবির্ভূত হন। সেই সময় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কংস নারায়ণ প্রথম যে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন, সেই প্রতিমা ছিল সোনার তৈরি।  এরই ধারাবাহিকতায় আজ পর্যন্ত সারা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা স্বীকৃত।

দুর্গাপূজার গোড়ার কথা কালক্রমে যাতে হারিয়ে না যায় সে জন্য তাহেরপুরে রাজা কংস নারায়ণ প্রথম দুর্গাপূজা সৃষ্টি, মন্দির ও জায়গা রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটি গঠিত হয়ে ছিল।  এ কমিটি দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল তাহেরপুরকে বাঙালী হিন্দুদের শারদীয় উৎসবের পুণ্যস্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারের কাছে আবেদন করেও স্বীকৃতি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।  সে সময় আধুনিক দুর্গোৎসব পদ্ধতি পন্ডিত রমেশ শাস্ত্রী প্রণীত। এ মহাযজ্ঞের প্রথম অনুষ্ঠান হয়েছিল রাজা কংস নারায়ণ রায়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ষোড়শ শতাব্দির শেষ ভাগে।  অনুষ্ঠানের স্থানটি ছিল বারনই নদীর পূর্ব তীরে রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। প্রথম দুর্গাপূজার সেই স্থানটি এখন ধ্বংসস্তুপ। এলাকাবাসী স্থানটি সংরক্ষণ করে ধর্মীয় তীর্থস্থান ও পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক অধ্যাপক জানান, তাহেরপুর ছিল রাজা কংস নারায়ণের সাংস্কৃতিক রাজধানী। এখানে বসে কৃক্তিবাস রামায়ণের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন। ঐতিহাসিক এ স্থানে প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় জাতীয় উৎসব পালনের দাবি করেছেন তিনি। তাহেরপুরে পর্যটকদের তীর্থস্থান করার দাবিতে ২০০২ সালে কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব রায় মিন্টু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেন। কিন্তু পুণ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি তো দূরের কথা, এখানে উন্নতমানের একটি মন্দিরও সরকারের পক্ষ থেকে নির্মিত হয়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আক্ষেপ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে হিন্দুদের অনেক মিথ্যা আশ্বাস দেন। কিন্তু ধর্মীয় ব্যাপারে তেমন কোনো কাজ করেন না।  এখানকার রাজবাড়ী গোবিন্দমন্দিরে একটি বৃহৎ শিলালিপি রয়েছে। এতে দুর্গাপূজার প্রতিষ্ঠা, স্থান, সন, তারিখ ও অতীত কিছু ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে।  এ শিলালিপি ছাড়া এখানে আর তেমন কিছু নিদর্শন নেই। তাহেরপুরের দুর্গাপূরীতে দেবী দুর্গার মূলবেদী পর্যন্ত এখন নেই।  বর্তমানে দুর্গাপূরীর বেদীমূলে স্থাপিত হয়েছে তাহেরপুর কলেজ।  তার পাশে তিনশ’ বছরের প্রাচীন গাছটির নাম না জানার কারণে ‘অচিন বৃক্ষ’ হয়ে কালের স্মৃতি বহন করছে।  তবে হিন্দু শাস্ত্রীয় মতে, মা দুর্গার জন্ম স্বর্গে। সব দেবতার মহাতেজশক্তি নিয়ে মহাপরাক্রমশালী মহিষাসুরকে বধ করার মানসে ক্রেতাযুগে রাবনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দশরথ পুত্র মহামতি রাম মা দুর্গার অকালবোধন পূজা করেন। মা দুর্গা তার পূজায় সন্তোষ্ট হয়ে রাবন বধের বর প্রদান করেন।  বর পেয়ে রাম লংকারাজ রাবনকে বধ করতে সক্ষম হন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাহেরপুরের দুর্গপুরী গোবিন্দবাড়ি মন্দিরের সভাপতি নিশিত কুমার সোনা সাহা ও সাম্পাদক শ্রী রঞ্জিব কুমার রায় জানান, ঐতিহাসিক এ স্থানটিকে পুণ্যভূমি হিসেবে ঘোষণা করা হলে এখানে পর্যটন নগরী গড়ে উঠবে। সারাবিশ্বের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতি বছর ঢল নামবে এখানে।  বাড়বে সরকারের রাজস্বও। এরই ধারাবহিকতা ধরে রাখতে এ বছর মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠত হচ্ছে। তবে সরকারী মতে পূজা মন্ডপে ব্যাপক আলোক সজ্জা ও বিভিন্ন ডিজাইনে সাজানো হয়েছে। এছাড়া মন্ডপে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আনসার বাহিনীর পাশাপশি পুলিশ বাহিনীও কাজ করছে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট