মমিনুল ইসলাম মুন, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি…………………………………………..
রাজশাহীর তানোরে বিসিআইসির সার (সাব) ডিলার নিয়োগে বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে অসন্তোস ও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, একটি চক্র ডিলার প্রতি ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। অসমর্থিত সুত্র জানায়, জনৈক শাহীন নামের এক মধ্যস্থতাকারি এসব টাকা আদায় করছে।
জানা গেছে, উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের (ইউপি) যেসব ওয়ার্ডে সাব ডিলার নেই সেসব ওয়ার্ডে সাব ডিলার নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সাব ডিলার নিয়োগ পেতে হলে সার ব্যবসার ৫ বছরের অভিজ্ঞতা, ৫০ মেট্রিক টন সার মজুদের মতো মান সম্মত পাকা গুদাম ঘর ও ইউপি কমিটির প্রত্যায়নসহ বিবিধ শর্ত দেয়া হয়েছে। কিন্ত্ত আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ডিলার নিয়োগের জন্য নীতিমালা লঙ্ঘন করে অযোগ্যদের সুপারিশ করা হয়েছে।
সরেজমিন তদন্ত করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, তালন্দ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড মোহর গ্রামের মেসার্স নজরুল ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল হাকিম। ইতি পুর্বে তিনি সাব-ডিলার নিয়োগ পেতে সরকারি কোষাগারে ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদন করেন। কিন্ত্ত পরবর্তীতে তিনি সাব ডিলার হবেন না বলে লিখিত আবেদন করে জামানতের টাকা ফেরত নিয়েছেন। নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যবসায়ী ডিলারসীপ নিতে টাকা জমা দিয়ে পরবর্তীতে সেই টাকা ফেরত নিলে তার ডিলারসীপ নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। অথচ এখন আবার ভিন্ন কৌশল ও তথ্য গোপণ করে হাকিম তার পুত্র নজরুল ইসলামের নামে ডিলারসীপ নেয়ার আবেদন করেছেন যেটা নীতিমালা পরিপন্থী।
অন্যদিকে একটি বিশেষ মহল হাকিমের ডিলারসীপ নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অপরদিকে সরনজাই ইউপির পশ্চিম ভাগনা গ্রামের হাজী আব্দুর রহিমের পুত্র ও ধান ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিনকে সাব ডিলার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তার সার ব্যবসার অভিজ্ঞতা ও গুদাম ঘর নেই। এবিষয়ে আলিম উদ্দিন বলেন, উপর মহলে তদ্বির করে তার নাম পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, সাব ডিলার নিয়োগে বানিজ্যর কোনো সুযোগ নেই, তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান সরেজমিন তদন্ত করে দেখা হবে।#