মমিনুল ইসলাম মুন…………………………………………………..
৩ ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে যে জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছিল তা বন্ধ করে দিয়েছেন রাজশাহীর তনোর থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিঞা। শনিবার উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) শস্য ভান্ডার হাতিশাইল মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে ভূমিগ্রাসী চক্রের হাত থেকে প্রায় শত বিঘা ফসলী জমি রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ কৃষকদের মাঝে পরম স্বত্তি বিরাজ করছে। সচেতন মহলও ওসির এমন ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এসব ফসলী জমি রক্ষায় এলাকার কৃষক সমাজের প্রশংসায় ভাসছেন ওসি কামরুজ্জামান মিঞা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) কামারগাঁ গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইন্দি মুকবুলের পুত্র বিএনপি মতাদর্শী ভূমিগ্রাসী আব্দুল মান্নান। তিনি পেশী শক্তির জোরে হাতিশাইল মাঠের ফসলী জমিতে রাতের আঁধারে অবৈধ পুকুর খনন শুরু করেন। কৃষকেরা জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তারা ফসলী জমি রক্ষায় কোনো ভূমিকা রাখেনি। ফলে বাধ্য হয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়,শনিবার বিকেলে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিঞা ও ওসি তদন্ত উসমান গনি হাতিশাইল মাঠে অভিযান পরিচালনা করে দুটি ভেঁকু গাড়ীর ব্যাটারী জব্দ ও অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ দিয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা ভূমিগ্রাসী আব্দুল মান্নান ও তার পুত্র মৃদুলকে আটকসহ তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
হাতিশাইল গ্রামের কছির উদ্দিনের স্ত্রী তহমিনা বিবি (৩৪) বলেন, তার একমাত্র সম্বল একবিঘা ফসলী জমি আছে, এই জমিতে চাষাবাদ করে তারা জীবীকা নির্বাহ করছেন। কিন্ত্ত আব্দুল মান্নান ও তার পুত্র মৃদুল তাদের না জানিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে পুকুর খনন শুরু করে। একই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র আলম বলেন, তাদের একমাত্র সম্বল দুবিঘা জমি, কিন্ত্ত ভূমিগ্রাসী আব্দুল মান্নান তাদের না জানিয়ে সেখানে পুকুর খনন শুরু করেছে।
এছাড়াও কৃষক নজরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, সুফিয়ান ও হবিবুর রহমান বলেন, আব্দুল মান্নান একজন ভূমিগ্রাসী এর আগে সে কৃষ্ঠপুর মাঠে প্রায় ৫০ বিঘা ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করেছে। এবার তার চোখ পড়েছে হাতিশাইল মাঠে। তারা কৃষি জমি খেকো আব্দুল মান্নান ও তার পুত্র মৃদুলকে আটকসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান বলেন, পুকুর খনন বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, এটার দায়িত্বে রয়েছেন তার পুত্র মৃদুল। এবিষয়ে মৃদুল বলেন,তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই পুকুর খনন শুরু করেছেন। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, কৃষি জমিতে পুকুর খননের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#