জিয়াউল কবির: রাজশাহীতে বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে পদ্মার নদীর পানি। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। ঝুঁকি এড়াতে নগরীর টি-বাঁধের কাছে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৮ দশমিক ০৫ মিটার। বর্তমানে পদ্মার পানি ১৭.৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জুলাই মাসের শুরু থেকেই রাজশাহীর পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। প্রতিদনি গড়ে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়ছে। গত ৭ আগস্ট পানি বেড়ে প্রবাহিত হয় ১৬ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটারে। ৮ আগস্ট প্রবাহিত হয় ১৬ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটারে। ৯ আগস্ট ১৭ দশমিক ২ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়। ১০ আগস্ট প্রবাহিত হয় ১৭ দশমিক ২২ সেন্টিমিটারে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ১৭ দশমিক ৪৪ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী মহানগরীর কাজলা, তালাইমারী, শহীদমিনার, পঞ্চবটি এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় বসত বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। এছাড়া অনেকে মাছ ধরার জন্য নদীর তীরে জাল ও বড়শিসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে অবস্থান করেন।
স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি বাড়ায় সাথে সাথে সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছিলো কিন্তু এখন কিছুটা কম। পদ্মা পারের ব্যবসায়ী বলেন, নদীর পানি বাড়ায় দোকান পাঠ ভেঙ্গে গেছে, অনেক দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে গেছে, আগে অনেক মানুষ আসতো ব্যবসা ভালো হতো কিন্তু এখন মানুষ জন কম আসছে এতে করে ব্যবসা করতে পারছি না এবং তাদের পরিবার চালাতে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী শহর রক্ষা শাখা উপ-সহকারী প্রকৌশলী, মোঃ আবু হুরায়রা বলেন, ২৪ জুলাই থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। মাঝে একবার কিছুটা কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাজশাহী নগরীর পদ্মা পাড়ের বসতীতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। দুইদিন পানি আরো বাড়তে পারে বলে জানান তবে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা নেই।#