নাজিম হাসান……………………………………………………………………………..
শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন (২২ অক্টোবর) রবিবার ছিল মহাঅষ্টমী। দুর্গোৎসবের এই দিনে সারাদেশের মতো রাজশাহী মহানগরীতেও পালিত হয়েছে কুমারী পূজা। কুমারি পূজার দিনে নগরীর ত্রিনয়নী পূজামন্ডপে ছিল ভক্তদের ঢল। কয়েক হাজার ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় কুমারী পূজা।
এ বছর কুমারী পূজায় দেবীর আসনে বসানো হয়েছে নগরীর সাগরপাড়া এলাকার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আট বছরের ইন্দুপ্রভা দাস তিতলিকে।পূজা শুরুর আগে তাকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে নানা অলঙ্কার ও ফুলের মালায় নিপুণভাবে সাজিয়ে দেবীর আসনে অধিষ্ঠিত করা হয়। এর আগে মন্ত্রোচ্চারণ, ফুল ও বেলপাতার আশীর্বাদ পৌঁছে দেয়া হয় ভক্তদের কাছে। এরপর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
হাজারো ভক্তদের উলুধ্বনি আর ধর্মপ্রাণ মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধায় সম্পন্ন হয় কুমারী পূজা। ভক্তদের উলুধ্বনি আর ধর্মপ্রাণ মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধায় সম্পন্ন হয় কুমারী পূজা। হিন্দুধর্ম মতে, দেবী মাতৃরূপে ভক্তদের মধ্যে আর্বিভুত হন। তিনি যেমন দুষ্টের দমন করেন, তেমনি মাতৃরূপে ভক্তের পালনও করেন। সেই ধারণাকে ধারণ করে কুমারী পূজার আবির্ভাব।
কুমারী পূজায় সাত থেকে নয় বছরের কুমারীকে দেবী হিসেবে কল্পনা করে পূজা করা হয়। ভক্তরা তার মাঝে খুঁজে পান দেবীরূপী মাকে। পূজা শেষে সবার মঙ্গল কামনা এবং পাপমুক্তির জন্য ভক্তরা দেবীর পায়ে শ্রদ্ধা জানান ফুল ও বেলপাতা নিবেদন করে। বিভিন্ন মন্দিরে অঞ্জলী শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।#