নাজিম হাসান………………………………………………………….
রাজশাহীতে সাংবাদিক পরিচয়ে দাপটের সাথে দালালী করছে হলুদ অনলাইন ফেসবুক সাংবাদিকরা। তাদের দৌরাত্ব দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে প্রকৃত সাংবাদিকরা পড়ছেন চরম বিপাকে। ওই সব ভুয়া অনলাই ও ফেসবুক নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্থ্যক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
সরজমিনে দেখাগেছে রাজশাহী জেলাজুড়ে বাগমারা,পুঠিয়া,দুর্গাপুর, পবা, ারঘাট,তানোর,বাঘা,মোহনপুর, গোদাগাড়ী উপজেলা ও রাজশাহী সিটিতে নিউজ র্পোটাল ও আইপি টিভি চ্যানেল রয়েছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই সরকারের কাছে। নিউজ র্পোটাল ও আইপি টিভি চ্যানেল গুলোতে কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ছাড়াই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জেলা ও উপজেলা সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার জন্য সাংবাদিকতার কার্ড বিক্রি করা হচ্ছে৷ যার ফলে অনলাইন-ফেসবুক হলুদ নতুন বেশ কেছু অসাংবাদিক গড়ে উঠেছে। তারা ঢাকা ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রেজি: বিহীন অনলাইন টিভি ও পত্রিকার ভুয়া পরিচয়পত্র মোটা অংকের টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে এলাকায় এসে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাজানো বিভিন্ন গল্প এবং বিভিন্ন ব্যক্তি’র সাথে যোগাযোগ ও কথা না বলেই তাদের নাম ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছেমত বক্তব্য লিখে অনলাইন পত্রিকা ও অনলাইন টিভিতে ছাপিয়ে নিজেরাই ওই পত্রিকা গুলোর কাটিং করে একে অন্যকে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচেছ। উপজেলা গুলোর বিভিন্ন দপ্তরে অপকর্মের তদবির দাপটের সাথে দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতচ্ছে।
তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে রেখে ইচ্ছেমত চাঁদা আদায় করছে। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছেন সরকারি ও বে-সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এদের করা বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকেই পড়তে হচ্ছে ওই সাংবাদিকদের রশানলে। ফলে এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ না করায় তাদের দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে।
এদিকে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে মতাসীন দলের নেতা ও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি করছেন বলে এশাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা চাঁদা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য জুড়ে অনলাইন টিভি ও অনলাইন প্রত্রিকায় সংবাদ ছাপিয়ে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বদলী করা হবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে বø্যাকমেইল করা হচেছ।এসব হলুদ সাংবাদিকরা চাদাবাজী করায় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রকৃত সাংবাদিকসহ সংবাদকর্মীদের ভাবমুর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানাগেছে।#