
বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাঘা থানার এক এএসআই এর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই এএসআই। এদিকে ভু’ক্তভোগির সাথে কথা বললে তিনিও তার অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেননি।
জানা যায়,শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পানিকামড়া জোতকাদিরপুর এলাকার রঞ্জিত মন্ডলের ছেলে জুয়েল রানা (৩২)কে আটকে তার দেহ তল্লাশি করে পকেটে হাত দিয়ে হেরোইন মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠে, বাঘা থানার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। জুয়েল রানা পেশায় একজন কৃষক। তার নামে ৬পিস ফেন্সিডিলের একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে কথা বললে জুয়েল রানা বলেন, ওই এএসআইকে আমি চিনি না। তিনি বলেন,আমাকে কিংবা ওই অফিসারকে ফাঁসানোর জন্য অন্য কেউ অভিযোগ তুলতে পারে। আমার সাথে কারো কোন কথা হয়নি।
এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের কারণে সেদিন আমি বাইরে ছিলাম না। কোন তথ্য প্রমানাদি ছাড়াই আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেই ইর্ষান্বিত হয়ে এধরনের অসত্য অভিযোগ তুলতে পারে। তিনি আনিত অভিযোগের সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে এমন বিষয়ে জানতে চেয়ে একজন ব্যক্তি আমাকে ফোন দিয়েছিল। তাকেও বলেছি সেদিন আমার থানার বাইরে ডিউটি ছিল না। কে বা কারা এমন কথা বলছে জানতে চাইলে তিনি তার নাম বলেননি।
প্রতিনিধির কাছে কথোপতনের ভিডিও সহ ভয়েস রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। বাঘা থানার ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে লিখিতভাবে জানাবে। তখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #