স্বাধীন, মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় স্টীল ফার্নিচারের দোকানঘর নির্মাণের জন্য জায়গা ভাড়া নেন আসমত আলী ও মানিক সরকার নামের দুই ব্যবসায়ী। এসময় তাদের সঙ্গে ভাড়া চুক্তি হয় মাসিক ৫ হাজার। শুরুর দিকে ব্যবসায়ীরা কয়েক মাসের ভাড়া নিয়মিতভাবে পরিশোধ করেন।
পরবর্তীতে ব্যবসা মন্দার অজুহাতে ভাড়া দিতে টালবাহানা শুরু করেন এ দুই ব্যবসায়ী। এভাবে ২০ বছর ধরে তারা ব্যবসা চালিয়ে আসলেও ভাড়া পরিশোধ করেননি। উপায়ান্ত না থাকায় গত বুধবার ওই সম্পত্তি দখলমুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। সেখানে লুটপাট কিংবা ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবী করেন উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের কামারকুড়ি গ্রামের মৃত আখতার হামিদের বড়ছেলে সম্পত্তির মালিকানা দাবিদার দেলোয়ার হোসেন। এসময় তার ছোইভাই মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা আখতার হামিদ ২০০২ সালে মুস্তাফিজুর রহমান মুসার কাছ থেকে ৩৩ শতক ও আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে সাড়ে ৬শতক জমি কিনেন। প্রসাদপুর বাজারের প্রাণকেন্দ্রের ওই সম্পত্তিতে স্টীল ফার্নিচারের দোকানঘর নির্মাণের প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ী আসমত আলী ও মানিক সরকার। ৫ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া চুক্তিতে বাবা আখতার হামিদ তাদের দোকানঘর নির্মাণের অনুমতি দেন। এর পর তারা সেখানে দোকানঘর নির্মাণসহ ব্যবসা শুরু করেন।
ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসা শুরুর দিকে আমার বাবা আখতার হামিদকে কয়েক মাসের ভাড়া প্রদান করে ব্যবসায়ীরা। এর পর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা ভাড়া দিতে টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে ভাড়া না দিয়ে ওই সম্পত্তি অবৈধ দখলে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও ওই সম্পত্তির দখল ছাড়েননি ব্যবসায়ী।
সম্পত্তির মালিকানা দাবিদার মতিউর রহমান বলেন, গত বুধবার সকালে লোকজন দিয়ে আমাদের সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হয়েছে। সেখানে ভাঙচুর কিংবা লুটপাটের কোনো ঘটনা ছিল না। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই প্রকৃত সত্য জানা যাবে। এনিয়ে প্রকাশিত বিভ্রান্তকর সংবাদের প্রতিবাদ করেন তারা। #