বিশেষ প্রতিনিধি………………………………………………
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে রাজপথ, ট্রেন পথ ও নৌ পথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর প্রতিবাদে তারা আবরোধ কর্মসূচি দেয়।তবে একটানা দিনদিনের অবরোধ একমসূচি আদৌ সফল হবে কি না তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে।
গত শনিবারে ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে যে হত্যা, মারামারি, অগ্নি সংযোগ করেছে তা নজীর বিহীন। পুলিশের বাধার মুখে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে যে ন্যাক্কারজনক তান্ডব চালিয়েছে তা দেশবাসিকে অবাক করেছে। তারা পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সাংবাদিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করে সে সাংবাদিককে হত্যা করতে বুক কাঁপেনি তাদের।শনিবারে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৭জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা এখও আশংকাজনক। বিনা উস্কানিতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করে ভাংচুর করেছে যা খুবই দু:জনক। এরজন্য দায়ি করা সেটা ভাবতে হবে। তাহলে এত ঘটনার পরও কোন বিচার হবে না বা উচিত নয় মনে করছে বিএনপি ও জামায়াত পন্থীরা। অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত সকল অপরাধীদের।
সকাল -সন্ধ্যা হরতালের করুন অবস্থা। ডাক দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে মাঠে কেউ নেই। দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কোথায় হরতাল হয়নি। প্রতিটি বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সদরে বাস চলাচল সীমিত ছিল তবে অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।আফিস আদালতে কাজ কর্ম স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে। তার মানে হলো দেশের মানুষ আর হরতাল অবরোধ চায় না। তারপরও বিএনপি যে অবরোধের ডাক দিয়েছে তা কতটুকু সফল হবে তা কালকেই দেখা যাবে।
এদিকে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো সাধারণ জনগণকে নিয়ে হরতাল, অবরোধ ভাঙ্গতে এবং অফিস আদালতে, মিল ফ্যাক্টরী, ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে সকল কাজ কর্ম স্বাভাবিক রাখতে বদ্ধ পরিকর।সাধারণ মানুষ এখন এসবের বিপক্ষে।