# বিশেষ প্রতিনিধি……………………………………..
ঢাকার‘ফার্মাইমাজিনেশন হ্যাপি হাট’ এর সার্বিক পরিকল্পনায়,তত্বাবধানে ও পৃষ্ঠপোষকতায় নিরাপদ,বিষমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের কলাকৌশল বিষয়ে সংযোগচাষীদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩১-০৩-২০২৩) দুপুর ২টায় বাঘা উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষনে রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট উপজেলার ২১ জন আম চাষী অংশগ্রহন করেন।
আম চাষীদের কাছ থেকে বিদেশ রপ্তানিযোগ্য ২০০ মেঃটন আম নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয় । বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট(গাজীপুর)’র উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মোঃ শরফ উদ্দিন নিরাপদ,বিষমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের কলাকৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করেন।
তিনি বলেন, এর আগে চাষীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কেউ আম কেনেনি। মৌসুমের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটি চুক্তিবদ্ধ হয়ে চাষীদের আম উৎপাদনের প্রশিক্ষন দিচ্ছেন। পদ্ধতি অনুসরন করলে গতবারের চেয়ে অধিক পরিমাণ আম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শফিউল্লাহ সুলতান, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘ফার্মাইমাজিনেশন হ্যাপি হাট’র চীপ মার্কেটিং অফিসার সাহেদ আলী।
সাহেদ আলী বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে রাজশাহীর বাঘা-চারঘাটের উৎপাদিত আম ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এবার রপ্তানিযোগ্য ২০০ মেট্রিক টন আম ক্রয়ের জন্য মৌসুমের শুরুতেই চাষীদের সাথে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে । আমের কলিটি ও সরবরাহকৃত আমের চাহিদা বাড়লে পরবর্তীতে পরিমান বৃদ্ধি পেতে পারে।
কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ২০০ মেট্রিক টন আম ক্রয়ের জন্য আম চাষীদের সাথে প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এভাবে সবাই এগিয়ে এলে দেশের আম রপ্তানি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং নিরাপদ আম উৎপাদনে চাষীদের উৎসাহিত করবে । রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করে বাগান গড়ে তোলাসহ আম চাষীদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত বাগান মনিটরিংসহ আন্তঃপরিচর্যা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এবছর উপজেলা থেকে অন্তত ১০০০ মেঃ টন আম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। চাহিদা বাড়লে আরো বেশিও হতে পারে।#