# সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান………………………………………………….
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও লুটপাটের পর ওই এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে রুমা উপজেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখনো খোঁজ মেলেনি সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের। তাকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযান জোরদার করেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর ৫০ থেকে ৬০জনের একটি সশস্ত্র দল উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে সেখানে পাশে থাকা সোনালী ব্যাংকে লুটপাট চালায়। সোনালী ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর ১৪ টি অস্ত্র ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি তারা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। মারধর করা হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এ সময় সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের ভোল্টটি ভাঙচুর করে। ব্যাংকের ঐ ভল্টটিতে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ছিল। ওই টাকা সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়েছে কিনা এ বিষয়ে সিআইডির একটি তদন্ত টিম তা পরীক্ষা করে দেখছে।
এদিকে রুমা উপজেলায় এ ঘটনার পর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন, চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোঃ সৈকত শাহীন সহ প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। উপজেলা কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে বান্দরবানের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের মুক্তি চেয়ে রুমা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে। অন্যদিকে রুমা উপজেলার সাথে বান্দরবান সদরের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য পাহাড়ে নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর তৎপরতা কমিয়ে আনতে গত ৫ই মার্চ শান্তি কমিটির সাথে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকের মাত্র এক মাসের মাথায় এ সংগঠনটি ব্যাংকে হানা দিয়ে লুটপাট চালায়। সংগঠনটির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
ব্যাংকে হামলার পর চলমান শান্তি আলোচনা প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনসাধারন। এ ঘটনার পর আবারও বুধবার মধ্য দুপুরে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ, সোনালী ব্যাংক থানছি শাখা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থানছি শাখায় হামলা চালায় এবং ব্যাংক দুটি লুট করে নিয়ে চলে যায়।পার্বত্য বান্দরবান এর জনসাধারনের মনে এক অজানা আতংক ভর করেছে।
এদিকে থানছিতে ব্যাংক লুট হওয়ার পর সেখানে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার সকল ব্যাংক এ প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলছে সাদা পোশাকে নজরদারি। গত কাল বান্দরবানের সদর ব্যতিত সব উপজেলার সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক এর গ্রাহকদের ব্যাংকি সেবা বন্দ করে দেয়া হয়।#