
বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়ে এক গৃহবধুর মৃ/ত্যু/র খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১ নভেম্বর) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিসাৎধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় সে মারা যায়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার সহোদর ভাই আসলাম আলী বলেন তার বোনের ম/র/দেহ রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ম/র্গে রাখা হয়েছে। এই দিন শনিবার সকালে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই গৃহবধুর নাম মুন্নি খাতুন(২৮)। সে বাঘা পৌরসভার চক নারায়নপুর গ্রামের সুরুজ আলীর স্ত্রী ও একই পৌর সভার মিলিক বাঘা গ্রামের নাজিমুদ্দীনের মেয়ে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,তার ৭বছরের ১ ছেলে ও ৪ বছরের মেয়ে রয়েছে। পারবিারিক কলহের জের ধরে নিজের শরীরে ডিজেলে ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্ম/হ/ত্যা করেছে বলে স্বামীর পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে এমন দাবি অস্বিকার করেছেন তার সহোদর ভাই আসলাম আলী। তিনি জানান,তার বোনের স্বামীই শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
যোগাযোগ করে সুরুজ আলীর বক্তব্য না পেয়ে তার ভাতিজা সাব্বির আলীর সাথে কথা হলে বলেন, শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তার স্বামী ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় ভোর রাতে ডিজেল তেল নিজের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুন্নি। পরে চিকৎকার শুনে উঠে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র নেওয়া হয়। সেখান থেকে রামেকে ভর্তি করা হয়। মেশিনে ব্যবহারের জন্য ডিজেল বাড়িতে রাখা ছিল বলে জানান তিনি।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র চিকিৎসক অখিল পাল বলেন, স্বজনরা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাকে রামেক হাসপাতালে রেফর্ড করা হয়। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে নিজের শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গৃহবধু। তবে এ কথা সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপর এক সুত্রে জানা যায়,পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধুর স্বামী ডিজেল ঢেলে নিজের ঘর-বাড়ি পু/ড়ি/য়ে দিতে চেয়েছিল।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শঙ্কর বিশ্বাস বলেন, রোগীটিকে সকালে হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বার্ন) ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে রোগীর স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেবেন বলে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বরতদের জানায়। সেখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে তারা হাসপাতালের বাইরে নিয়ে আসেন। তবে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবার বিকেলে হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃ/ত অবস্থায় পান। আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য তার ম/র/দেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।#