
মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন এর ব্রামণগাঁও গ্রামের অন্যের জমি দখল প্রতিবাদ করায় ফেক আইডি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঁদাবাজ বলে ভাইরাল করে, এর প্রতিবাদ করেছে যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি নেতা নুরচাঁন।
সরেজমিনে বক্তারপুর ইউনিয়নের নেতৃত্ববৃন্দের সাথে কথা বলে যাচাই করে জানা যায়, ব্রাহ্মণগাও উচ্চবিদ্যালয়ের দপ্তরী শৈলান্দ দাসের ছোট মেয়ে অজ্ঞাত এক ছেলের সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়,পরেরদিন তারই ভাতিজা জানায় রাতে কাকার বাড়িতে একটা ছেলে, মেয়ে উঠেছে এমন খবর পায় স্থানীয়রা । এরই মধ্যে বড় মেয়ে ছোট বোনের সন্ধানে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসলে শাহজাহানের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকেরা বাড়ি ঘেরাও করে শৈলান্দ দপ্তরীর চল্লিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা করে। শৈলান্দের থেকে চাঁদা বাবদ শাহজাহান ১৫ হাজার ও জাকির ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরের দিন ফেসবুকে ভাইরাল হয় যে, যুবদল নেতা নূর চাঁনের নেতৃত্বে ৪০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করেছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বক্তরপুর ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানায়, আসলে নুর চাঁন এ ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে বক্তাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল কবির খাঁন নাঈম ও শৈলান্দ জানায়, আমরা যাচাই বাছাই করে দেখেঁছি আসলে নুর চাঁন ঘটনার সাথে জড়িত না। অন্যদিকে দুবুরিয়ার গ্রামের কালাম মাস্টার শৈলান্দের বড় মেয়ে ব্রামনগাঁও মাদ্রাসার ল্যব এসিস্ট্যান্ড দুবুরিয়া কালাম মাস্টারের কাছে যায়। পরে মেয়েটিকে এনে প্রাথমিক সমস্যা সমাধান করেন।
এবিষয়ে বক্তারপুর ইউনিয়নের নেতৃত্ব বৃন্দ ব্রামনগাঁও বিদ্যালয় মাঠে বিচার বসবে,পরে কোন অদৃশ্য কারণে মঙ্গলবার রাত ৮ টার সময় বক্তারপুর ইউনিয়ন এর নেতৃত্ব বৃন্দ মিমাংসায় বসে,শৈলেন্দ্রের নিকট থেকে নেওয়া ২০, ০০০/ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ওযার্ড বিএনপির সভাপতি ঘটনাটি অবগত হলে বুধবার সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণগাঁও স্কুল মাঠে বিচারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু একটি মহল মঙ্গলবার দিন সন্ধ্যায় বক্তারপুর বাজারে একটি অফিসে বসে বিচার কাজ সম্পন্ন করে শাহজাহানের নিকট থেকে ১৫ হাজার ও জাকিরের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়ে অভিযোগ মীমাংসা করে। একটি প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী নুর চাঁন বক্তারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ- সভাপতি,নুর চান দৈনিক সবুজনগর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন এ-ই ঘটনায় আমি কিছুই জানি না। শৈলেন্দ্র এক বিঘা জমি জোর পূর্বক জবর দখলে করে খাচ্ছে, আমরা কয়েকজনে শৈলেন্দ্র কে জমির কাগজ দেখাতে বললে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন আইডি থেকে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পোস্ট দিয়ে, সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল করেছে। এই ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি যে বা যাহারা আমার এবং কালীগঞ্জের বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ও বিতর্কিত পোস্ট করে যা মানহানিকর, ও বিব্রত কর অবস্থায় বা হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে।#