# মাহাবুর রহমান মনি, বাগমারা থেকে বিশেষ প্রতিনিধি…………………………….
সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, রাজশাহীর বাগমারায় ও এর ব্যাতিক্রম নয়। জানুয়ারির শুরুতে দাম কিছুটা কম থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি না করার ঘোষণা দেওয়ায় দেশের বাজারে নিমেষেই বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। সেটি বেড়ে এখন ১০০-১১৫ টাকা ছাড়িয়েছে। এঅবস্থায় ভোক্তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
প্রতি বছরই রমজানের সময় পেঁয়াজের দাম বাড়ে এটির জন্য সকলেই মোটামুটি প্রস্তুতই থাকে। কিন্তু চলতি বছর রোজার ১/২ মাস আগেই এরকম দাম বাড়ায় ক্রেতা পর্যায়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের ভাষ্য, দৈনন্দিন ব্যয় বৃদ্ধি এতটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে তার ওপর পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধি এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে রমজানে তা ১৫০ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধির ব্যপারে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কৃষক পর্যায়ে উৎপাদিত পেঁয়াজ বেশি দাম পাওয়ার আশায় তারা মজুত করছেন। যার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মজুতদার কৃষকেরা কেন মজুত করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, সব কিছুর দাম বাড়ার পাশাপাশি এখন সকল কিছুর উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, তাই রোজায় বেশি দামের আশায় কিছুটা সংরক্ষণ করছে তারা।
বাগমারা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার এ মৌসুমে উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মেঃটন। যা এই উপজেলার চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু কৃষকরা ভবিষ্যতে আরো বেশি লাভবান হওয়ার আশায় মজুত করছেন ফলে খুচরা বাজারে দাম বেড়েই চলেছে। এঅবস্থায় কৃষি বিভাগ বলছে, নতুন আলের/সেচের পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। এরই মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা কিছুটা কমেছে যার কারণে দাম বাড়ার গতিও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। অচিরেই পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি আসবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।#