# আব্দুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি……………………………………………..
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার গোবিন্দবাড়ি মৌজায় জমি ক্রয় করে ২০ লাখ টাকা প্রতারিত হয়েছেন রুহিয়া থানার দবিরউদ্দিনের ছেলে মুরগী ব্যবসায়ী মোঃ আমির হোসেন। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আমলী আদালত-৫ আটোয়ারী পঞ্চগড়ে গত ২১ শে এপ্রিল মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আমির৷ তিনি মামলায় আসামী করেছেন জমি বিক্রেতা উপজেলার রশেয়া সর্দারপাড়ার আশরাফুল ইসলাম এবং ছোটোদাপ গবিন্দপুরের তাহেরুল ইসলামকে।
জানা যায়, সালের ৩০ শে জানুয়ারী/২৩ ভুক্তভোগী আমির হোসেন অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামের কাছে থেকে ১০টি দাগে ৮৬.৭৫ শতক জমি এবং পরবর্তীতে ৩টি দাগে ১৭.৫০ শতক জমি সহ মোট ১০৪.২৫ শতক জমির মধ্যে ১০৩ শতক জমি ক্রয় করেন। উক্ত দলিলে ২৬৬৫ নম্বর দাগে ১ আনা হিস্যায় ৩৪ শতক জমির মধ্যে খারিজকৃত ২১.৭৫ শতক জমি উল্লেখপূর্বক আশরাফুল ইসলাম আমির হোসেনের কাছে বিক্রি করেন৷ কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম ৪৪৮৫/১৩ নং দলিল মূলে পূর্বের মালিকের কাছে থেকে ০১ শতক জমি ক্রয় করেন কিন্তু আশরাফুল ইসলাম উক্ত দাগে ২১.৭৫ শতক জমি ভুয়া ভাবে খারিজ করে আমির হোসেনের কাছে বিক্রি করেন৷
এদিকে ১০৪ শতক জমির মধ্যে ২৬৬৯ দাগে ৭ শতক জমির কাগজপত্র না থাকায় আমির হোসেন এই দাগের ৭ শতক জমি ক্রয় করতে চাননি। কিন্তু বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম পরে সাব কবলা দলিল করে দেবেন বলে ৩০০ টাকর নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত দেন৷
অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম প্রবাসী হওয়ায় তিনি বিদেশ চলে যান৷ তিনি দেশে আসার পর সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল ভুক্তভোগী আমিরের পাওনাকৃত জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকার করায় বিজ্ঞ আমলী আদালত -৫ এ মামলা করেন ভুক্তভোগী আমির। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির সমনাদেশ আগামী ৭ ই মে ধার্য্য করেন৷
জানা যায়, ১০৩ শতক জমির মধ্যে ভুয়া খারিজে ২১.৭৫ শতক ও আশরাফুলের লিখিত দেওয়া ৭ শতক সহ মোট ২৮.৭৫ শতক জমি ক্রয়ে ২০ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন বলে আমির হোসেন উল্লেখ করেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী মোঃ আমির বলেন, আমি ১০৩ শতক জমি ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছে। আমাকে জমি অথবা টাকা ফেরত দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। এবিষয়ে অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমির হোসেনের সাথে মিটমাট করার চেষ্টা চলছে।#