নাটোরের লালপুরে পানি সংকটের কারণে বাংলার সেই সোনালি আঁশ এখন কৃষকের গলার ফাঁস
-
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২
-
১২২
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
লালপুর, নাটোর প্রতিনিধি……………………..
লালপুর দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম অঞ্চল। নাটোরের লালপুরে দীর্ঘ দিন বৃষ্টির পানি না হওয়ায় প্রখর রোদ ও অতিরিক্ত খরায় নদী–নালা,খাল–বিল শুকিয়ে পানি শূন্য হওয়ায় বাংলার সেই সোনালি আঁশ এখন কৃষকের গলার ফাঁসে পরিনত হয়েছে।
লালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে,পানি সংকটের কারণে পাট চাষীরা পাট কেটে তা পানিতে জাগ দিতে না পেরে জমিতেই ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।অনেকেই আবার পাট কেটে পরিবহন যোগে বাড়তি খরচ করে খাল–বিলের বিভিন্ন নিচু জায়গায় স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।এতে পরিবহন,পানি সেচ ও শ্রমিক বাবদ পাট উৎপাদন কাজে বাড়িতে খরচ করতে হচ্ছে।
এ ছাড়াও তীব্র খরা ও পানি সংকটের কারনে ধান ও বিজতলা নিয়েও বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।তীর্ব তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ছে পাটক্ষেত,শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ।মাটি ফেটে চৌচির সব মিলিয়ে বলা যায় যে, লালপুরে বাংলার সেই সোনালি আঁশ এখন কৃষকদের গলার ফাঁস।
উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের পাট চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছরে আমার ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ রয়েছে।পাটের ফলন ৫০ হতে ৬০ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমি পানির অভাবে আমি পাট জাগ দেয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি।বাড়ীর পাশের পুকুরও শুকিয়ে গেছে স্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর টা পানি দিয়ে পূর্ণ করে তারপর পাট জাগ দিতে হবে। বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়বাদকয়া গ্রামের খালেক জানান,আমি পাট কেটে জমিতে রেখে দিয়েছি কিন্তু জাগ দেওয়ার কোন জায়গা না পেয়ে জমিতেই ফেলে রেখেছি যার ফলে পাট গুলো রোদে শুকিয়ে লাল হয়ে শক্ত হয়ে গেছে এখন বাড়তি খরচ করে খালবিলের নিচু জায়গায় পানি সেচ দিয়ে জাগ দিতে হবে এতে পাট উৎপাদনে লাভের অংশ পিপড়াই খাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রশারণ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, লালপুর উপজেলায় পাট চাষে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।মাঠে মাঠে পাটের অবস্থাও ভাল।এখন পাট কাটার সময় চলছে।কিন্তু বৃষ্টির অভাবে কৃষক পাট নিয়ে হতাশায় রয়েছেন। মৃদু তাপদাহ চললেও আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। আমরা কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দিচ্ছি।এতে যেমন খরচ কম তেমনি পাটের মানও ভালো থাকে। উপজেলা কৃষি উপ–সহকারি কর্মকর্তা সবুজ সাহেব বলেন, এ বছর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৪শত ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।#
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ