1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২
  • ২৪৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ছবি: মোহন

 

# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর থেকে………………………….

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর  তলদেশ থেকে অবৈধ ভাবে বালু-ভরাট উত্তোলনের সাথে জড়িত ৪ (চার) জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার(০২রা জুন) বিকেলে পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিতাই কুমার সাহা ৬ পাতার এই তদন্ত প্রতিবেদন নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এর আদালতে জমা দেন।

উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনে লালপুরের পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে অবৈধ ভাবে বালু-ভরাট উত্তোলনের সাথে জড়িত লালপুর উপজেলার ১নং লালপুর ইউনিয়নের বালিতিতা এলাকার স্থানীয় ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ লালপুর এলাকার এবং নাটোর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ওরফে মতি বাঙ্গাল,বনপাড়ার মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্সের মালিক ঠিকাদার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর এলাকার মোস্তফা বেপারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারী রাস্তা কেটে বালু-ভরাট পরিবহন করায় অন্তত লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আগামী ৫ই জুন ২০২২ইং তারিখে এই মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে,গত ১৪/১৫ই মার্চ জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন,দৈনিক গনকন্ঠ পত্রিকা সহ বিভিন্ন আইপিটিভি ও অনলাইন মিডিয়ায় লালপুরের পদ্মায় ব্যাপক হারে অবৈধ ভাবে উত্তোলন হচ্ছে বালু ভরাট,নিরব প্রশাসন শিরোনামে সংবাদ প্রচার হয়। সংবাদে প্রভাবশালীরা প্রতিদিন অন্তত ৭০টি ড্রাম ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাচ্ছে। বালু পরিবহনের জন্য চরের কৃষি জমি নষ্ট করে ৪কিলোমিটার লম্বা রাস্তাও বানানো হয়েছে। বালু উত্তোলনের কারনে আগামী বর্ষায় কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম ও মতিউর রহমান ওরফে মতি বাঙ্গাল অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করছে মর্মেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল,এভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারনে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পরিবর্তন হতে পারে নদীর গতিপথও।

এছাড়া ১০ই এপ্রিলে অন্য একটি ওয়েব সাইটের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। রাতের আধারে দিনের পর দিন বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। কখনও কখনও সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নাম করে বালু লিজ ছাড়াই পদ্মা নদী থেকে লাখ লাখ টাকার বালু লুট করে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এছাড়া রিজভী কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নবীনগর গ্রামে নদীর তীর রক্ষাবাধের নিচে ফসলি জমি থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই গত দেড় মাস ধরে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলণ করছেন বনপাড়ার ঠিকাদার আব্দুল্লাহ।আর এ বালু উত্তোলনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন লালপুরের ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান।

পরে সংবাদ গুলো গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করে স্বপ্রণোদিত হয়ে নাটোরের আদালত আমলে নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে কারা বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত তা খুঁজে বের করার জন্য পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় নাটোর আদালত। এছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আসামীদের সনাক্তকরণ,সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ,ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সুচিপত্র প্রস্তুতের পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনের কাছে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

পরে আদালতের সেই নির্দেশে ১৯শে এপ্রিল দুপুরে নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)এর ইন্সপেক্টর ফরিদ উদ্দিন,তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিতাই সাহা সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তদন্তে নামেন।এ সময় তারা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আসামিদের শনাক্ত, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র এবং সূচিপত্র প্রস্তুতের কাজ শুরু করেন।#

এডিট: /আরজা০৩

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট