
# মাসুদ রানা, পত্নীতলা ( নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নওগাঁয় ১৪৪/১৪৫ ধারা মামলা করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি রেজাউল মাসুদ স্বপনের বিরুদ্ধে। মামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জমির মালিক সোহেলীর স্বামী বিএনপি নেতা আশরাফ আলী ও এলাকাবাসী।
সোহেলীর স্বামী বিএনপি নেতা আশরাফ আলী জানান, পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরদার পাড়া গ্রামের জমিটির আরএস খতিয়ান নম্বর ১১৩ এবং দাগ নম্বর ২৮৪। ২০২৫ সালের জুন মাসে স্থাপনা নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমিটি ক্রয় করেন।সেই মোতাবেক আমরা ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে গত দেড়মাস যাবৎ কাজ করে আসছি।হঠাৎ করে রেজাউল মাসুদ স্বপন আরএস খতিয়ান নম্বর ৪০ এবং দাগ নম্বর ২৮৫ আমার জমির পাশে থাকা সত্বেও ১৪৪ ধারা মামলা করে আমার জমির কাজ বন্ধ করে দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করছেনএবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা তার জমি দখল করে বাড়ি নির্মানের অপপ্রচার চালাচ্ছে এতে আমার ও আমার দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রসাশনের কাছে সুবিচার দাবী করছি।
সাবেক জমির মালিক তৈফুর রহমান বলেন, ২৮৪ দাগের জমি বিক্রি করেছি আ: হামিদ এর কাছে আবার তিনি বিক্রি করেছেন আশরাফ আলীর স্ত্রী সোহেলীর কাছে।এই জমির সাথে রেজাউল মাসুদ স্বপন এর কোন সম্পর্ক নেই। তার জমির দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর সব আলাদা। এছাড়া স্থানীয়রা জানান সোহেলীর জমির সাথে স্বপনের জমির কোন সম্পর্ক নেই দু’জনের জমিই আলাদা আলাদা আছে। রেজাউল মাসুদ স্বপন এরকম ঝামেলা আশেপাশে সবার সাথে করেই থাকে। এর আগে তৈফুরের নামে এরকম হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়েছিলেন সেখানেও স্বপন হেরে গেছেন।
পূর্বের মামলার জাবেদা নকল সূত্রে জানা যায়, একই খতিয়ান ও দাগের জমি নিয়ে রেজাউল মাসুদ স্বপন বাদি হয়ে ৬৮৫ মিস/২০২৪ এবং ৩২৪ মিস /২০২৫ মিস মামলা করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত তদন্ত সাপেক্ষে আদালতের সত্যতা প্রতীয়মাণ না হওয়ায় উপরোক্ত দুটি মোকর্দ্দমা নথিজাত করেন। অভিযোগের বিষয়ে রেজাউল মাসুদ স্বপন সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।#