নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জসিমুদ্দিন নওগাঁর পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার দায়েরকৃত মামলা (নং–১২৪/২৫, থানা–পোরশা) সঠিকভাবে তদন্ত না করায় তিনি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ জেলা সম্মিলিত সাংবাদিক ঐক্যজোটের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিযোগকারী জসিমুদ্দিন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল তার জমি দখল ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে এবং তার রোপিত ধান জোর করে কর্তন করেছে। এ ঘটনায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ধান চুরির মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মিনার আলী (বি.পি. নং ৮৮১৪১৬৭১১৮) তদন্ত কার্যক্রমে গাফিলতি ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযোগকারী আরও বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তার প্রতিপক্ষের সাথে যোগসাজশ করে ৭৮ বস্তা ধান উদ্ধার করার কথা থাকলেও বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে ৩৫ বস্তা ধান জব্দ তালিকায় উপস্থাপন করেছেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে সঠিকভাবে দাখিল করছেন না। উদ্ধারকৃত ধান বিক্রয় করে আদালতে টাকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেও আদালত এর আদেশ কে অমান্য করে এখন পর্যন্ত আদালতের নির্ধারিত সময় অতিক্রম হলেও তদন্ত প্রতিবেদন এবং ধান বিক্রয়ের টাকা জমা না দেওয়ায় মামলাটির অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত আদেশ প্রদান করেছেন, কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টে পত্র প্রেরণ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও বেতন বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কেন নির্দেশনা প্রদান করা হবে না তৎমর্মে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা নওগাঁ দ্বয়- কে নির্দেশ প্রদান করা হলো মর্মে আদালত আদেশ প্রদান করেন। এবং পরবর্তী ধার্য্য তারিখ ১৬/১১/২৫ দেওয়া হয়।
জসিমুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি একজন সাধারণ মানুষ। ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় আইনগত পথে হেঁটেছি, কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।” তিনি তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন ও মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিক, সমাজকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগকারী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অক্টোবর মাসের ৬ তারিখে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি, তদন্তকারী অফিসারের সাথে কথা বলেছি আগামী ধার্ষ্য তারিখের আগেই তদন্ত প্রতিবেদনেআদালতে উপস্থাপন করা হবে।#