ফজলুল হক-ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অনলাইনে জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য যুবক। অপরদিকে কয়েকজন এজেন্ট বনে গেছেন কোটিপতি। গত কয়েকদিন ধরে গোয়াতলা বাজারে অনলাইন ক্যাসিনোর ৫০ লাখ টাকা নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, গোয়াতলা বাজারের অনলাইন জুয়ার এজেন্ট সাগর সরকার, কাঞ্চন, মহন, আলামিন,গিয়াস উদ্দিন,কুখন,মাহবুব সহ আরও অনেকেই। তাদের জুয়ার ফাঁদে পড়ে দোকান জমিসহ নানা সম্পদ হারিয়েছেন অনেকে। অপরদিকে কোটিপতি বনে গেছেন তারা। সাগরের বাবা কয়েক বছর আগেও ইঁদুরের ওষুধ ও সুতা বিক্রি করতেন। কিন্তু বর্তমানে কোটিপতি বনে গেছেন। মোবাইলের বিকাশ দোকানদার পলাশ অর্ধকোটি টাকা ঋণ করে পলাতক। এমন অনেকে জুয়ার ফাঁদে পড়ে অনেককিছু হারিয়েছেন। এর সঙ্গে উপজেলার অনেক প্রভাবশালীও জড়িত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহ থেকে একটি পার্টি ক্যাসিনো সম্রাট সাগর সরকারের দোকানে আসে। এসে বলে তার আইডিতে ৫০ লাখ টাকা ঢুকেছে। কিন্তু সাগর ৫ লাখ টাকা স্বীকার করে। পরবর্তীতে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সাগরকে খুঁজতে থাকে অনেকে। টাকা নিয়ে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। অনেকে জোরপূর্বক কিছু টাকা আদায় করে নেন তার থেকে। কেউ আবার তাকে আশ্রয় দিচ্ছে। অবশেষে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায় সাগর সরকার। গত তিনদিন ধরে গোয়াতলা এলাকায় চলছে নাটকীয়তা।
স্থানীয়রা আরও জানান, কাঞ্চনের সহায়তায় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে একাই ৫০ লাথ টাকা আত্মসাৎ করে সাগর। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানো তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে।
এ ব্যাপারে গোয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টুটন বলেন, সাগরের কাছ থেকে অনেকে জোরপূর্বক টাকা নিয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তিনি মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন। ক্যাসিনো এজেন্ট সাগর আত্মগোপনে ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাঞ্চন বলেন, এই জুয়া তো সারা দেশেই খেলা হয়। জুয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন সরকার বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#