আলিফ হোসেন,তানোর…………………………………………..
রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) শংকরপুর মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) একটি গভীর নলকুপ অপারেটরের বিরুদ্ধে কৃষকের কাছে থেকে জোরপুর্বক অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায় নিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেচ চার্জ আদায় নিয়ে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় কৃষকেরা শঙ্কিত হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে ১৮ ফেব্রুয়ারী রোববার কৃষকেরা অপারেটরের অপসারণ, কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার দাবিতে ডাকযোগে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) শংকরপুর মাঠে ২৯৭ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর শংকরপুর গ্রামের সলিমুদ্দীন। সেচ নিয়ে তিনি রীতিমতো জল জমিদারী শুরু করেছেন। এতে এলাকার সাধারণ কৃষক ফুঁসে উঠেছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র চাপা পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ ও দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
শংকপুর গ্রামের কৃষক সুবোলের পুত্র নির্মল (৩৫) বলেন, ধানের জমিতে প্রিপেইডকার্ড কার্ড দিয়ে সেচ নিতে বিঘা প্রতি ৫শ’ টাকা করে দিতে হয় অপারেটর সলিমুদ্দীনকে। এমনকি আলুখেতে সেচ দিতে বিঘা প্রতি ২৫০০ টাকা এবং প্রজেক্টের আলুখেতে ৩০০০ টাকা সেচ চার্জ আদায় করা হয়। এছাড়াও ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান, পাহারাদার, মটর মেরামত ইত্যাদি অজুহাতে কৃষেকর কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করা হচ্ছে।এসব কারণে স্কীমের কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জমিতে সেচ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে প্রকাশ্যে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর সলিমুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ডিপ সমিতিতে চলে, সভাপতি রিয়াজ মাস্টারের নির্দেশনামত তিনি টাকা আদায় করেন।তিনি বলেন, তার ডিপে পানি কম উঠে, তাই সেচ চার্জ একটু বেশী নেয়া হয়। তিনি বলেন, তিনি অপারেটর হবেন না, তাকে জোর করে অপারেটর করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#