মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে ভোগদখলীয় ওয়াকফ এস্টেটের প্রায় ২১.৪১ একর জমি জবরদখল এবং পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একদল প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ভূমিদস্যুরা একযোগে হাল চাষের নামে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে পুকুরে থাকা মাছও লুট করে নিয়ে গেছে, যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
জানা গেছে, তানোর উপজেলার প্রাণপুর মৌজার জে.এল. নম্বর ৮২ এর আওতাধীন খতিয়ান নম্বর ৯৫, ৯৪ ও ৫৭-তে রেকর্ডভুক্ত ২১.৪১০০ একর জমি, যার মধ্যে পুকুর, ভিটা ও ধানী জমি রয়েছে, তা দীর্ঘদিন ধরে প্রজা শুকুর মন্ডলের ওয়াকফ এস্টেট হিসেবে মোতওয়াল্লী পাতানী বেওয়া, সম্প বেওয়া, রাবিয়া ও রেজিয়া বিবির পক্ষে ভোগদখলে রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই সকাল ১০টার দিকে প্রাণপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে শাহানুর ইসলাম (মুকুল মাস্টার), আলিম মন্ডলের ছেলে সারোয়ার হোসেন, মৃত ইলিয়াসের ছেলে খালেক, মৃত ফাইজুদ্দিনের ছেলে আলিম, মৃত আলি হোসেনের ছেলে সাঈদ হোসেন, ডালিম মন্ডল, আমিনুল, বকুল ও প্রকাশনগরের কুদ্দুস মিয়া এবং তাঁর ছেলে হুসাইনসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে উক্ত জমি জবরদখলের চেষ্টা চালান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা জবরদখল করে জমিতে হালচাষের পাশাপাশি বড় জাল (ব্যাড়-জাল) ব্যবহার করে পুকুরের সব মাছ তুলে নিয়ে যায়। মাছের আনুমানিক বাজার মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা বলে দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মোতওয়াল্লী রেজিয়া বিবি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী প্রকৃতির এবং তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন। প্রাণপুর গ্রামের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী, যেমন নাজমুল হোসেন, কালাম, নাজমা বেগমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, এ ধরনের ভূমি দখলের ঘটনা আগেও ঘটেছে এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে ভবিষ্যতে আরও সহিংসতা ঘটতে পারে। ওয়াকফ এস্টেটের এই সম্পত্তি রক্ষা ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।#