# টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
টেকনাফের আবদুল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা এনআইডি ছাড়া কক্সবাজার আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়া এলাকায় বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ, ডেইল পাড়া কক্সবাজারে রামু ও চট্রগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় নামে বেনামে বসবাস করে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। হাতিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশী জন্মনিবন্ধন সদন।
আবদুল্লাহর নামীয় জন্মনিবন্ধন সনদে দেখা যায় সনদটি টেকনাফ পৌরসভা হতে সংগ্রহ করে। জন্মসনদটির বিষয়ে অভিযোগ করিলে সনদটি পৌর কর্তৃপক্ষ বাতিল করেন। যাহার টেকনাফ পৌরসভার স্মারক নং-৫, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-৫/৫৩, জেলা প্রশাসক-৫। শুধু জন্মনিবন্ধন নয় বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করে পাড়ি জমান সৌদি আবরে। সৌদি আরব থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে মানবপাচার, জমি দখল সহ নানা অপরাধের জড়িয়ে পড়ে। তার অপরাধ জগতের সহযোগী হিসেবে ছদ্মবেশী নারী ও পুরুষ সদস্য রয়েছে। তার অন্যতমত সহযোগী শাহপরীর দ্বীপের বাজার পাড়ার বাসিন্দা কলিমা, তাসমিন আরা ও শফুল্লাহ সহ আরো কয়েকজন।
রোহিঙ্গা আবদুল্লাহর জন্মনিবন্ধন সনদ বাতিলের পর শাহপরীর দ্বীপের বাজার পাড়ার বাসিন্দা কলিমা, তাসমিন আরা ও শফুল্লাহ সাবরাং সহ দেশের বিভিন্ন পরিষদে মোটা টাকার মিশন নিয়ে তদবির করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই রোহিঙ্গা নাগরিক আবদুল্লাহ নারীদের ব্যবহার করে গরীব অসহায় নিরহ লোকজনকে খপ্পরে পেলে নারীদের বিদেশে পাচার করে আসছে।
রোহিঙ্গা আবদুল্লাহ পল্লী বিদ্যুৎতের মিটার নিয়ে বাড়ি ঘর করে বসবাস করে। এতে এলাকার লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অভিযোগ দিলেও কোন ধরনের প্রতিকার পায়নি। এতে রোহিঙ্গা নাগরিক আবদুল্লাহর অপকর্ম থেমে নেই। জন্মনিবন্ধন সনদ বাতিল হওয়ার পর থেকে মোটা অংকের মিশন নিয়ে থেমে নেই কক্সবাজার, চট্টগ্রাম থেকে পুনরায় বাংলাদেশী জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার জন্য উঠেপড়ে আছে বলে গোপন সুত্রে জানা যায়।
কে এই রোহিঙ্গা আবদুল্লাহ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশী গবীর অসহায় নারীদের বিদেশে পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা মালিক বনে গেছে। রোহিঙ্গা নাগরিক আবদুল্লাহ বর্তামানে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে অবস্থান করলেও মালয়েশিয়া পাচার ও সৌদি আরবে নারীদের পাচার করে আসলেও আইনের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকার কারনে বার বার নানান ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এই রোহিঙ্গা আবদুল্লাহকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে টেকনাফে অনেকটা অপরাধ বন্ধ হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। শুধু তাই নয় এই রোহিঙ্গা আবদুল্লা প্রতারনার মাধ্যমে বিদ্যুতের মিটার সংগ্রহ করে। যাহার বই নং- ৪৫৪, হিসাব নং- ১০৪৩০৫ ৪৫৪৫৭৭০।
এই রোহিঙ্গা আবদুল্লাহকে রোহিঙ্গা বলে দাবী করায় প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩৮৬/২০২৪ ইং। শাহপরীরদ্বীপ বাজার পাড়ার বাসিন্দা হাফেজ শাকের নামে এক যুবক জানান, রোহিঙ্গা আবদুল্লাহ বর্তমানে শাহপরীরদ্বীপ বাজার পাড়া সাকিনস্থ তার বসত বাড়ীতে স্বপরিবারে বসবাস করিতেছে। তিনি আবদুল্লাহকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা নাগরিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।#