1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
দুর্ঘটনাস্থল থেকে রাইসিসহ অন্যদের লাশ উদ্ধার: ইরানী রেডক্রিসেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাউশি’র ৯ নির্দেশনা রাজশাহীতে বিএসটিআইয়ের উদ্যোগে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালন যশোরের তিন উপজেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে উপজেলা নির্বাচন আগামীকাল বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন : ওবায়দুল কাদের সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী  মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: রাষ্ট্রপতি স্বাচিপ রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর  ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান

জ্যৈষ্ঠের ‘কাঁঠাল’  ঝুলছে গাছে, চাষ বাড়লে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# বিশেষ প্রতিনিধি………………………………………………………………….

বাঘা মধুমাস’ নামে খ্যাত জ্যৈষ্ঠ আসতে এখনও কয়েকটা মাস বাঁকি। তবে এখন গত বছরের দেশীয় জাতের মৌসুমী ফল কাঁঠালের দেখা মিলেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ধনদহ গ্রামে। এই কাঁঠাল দেখতে ও স্বাদ গ্রহণ করতে সেখানে যাচ্ছেন অনেক মানুষ। তারা এই কাঁঠালের গুণাগুণ ও চারা সংগ্রহের জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

শনিবার(০২-০৩-২০২৪) ৬৬ বয়োসার্ধ গাছ মালিক লিয়াকত আলী জানান, এটা বারোমাসি কাঁঠালের জাত নয়। এই কাঁঠাল সুস্বাদু। তার বয়স যখন ১৬/১৭ বছর তখন ৪/৫ টি চারা লাগিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২টি চারা ছাড়া সবগুলো মারা যায়। গতানুতিকভাবে গাছটি বড় হয়ে ফল দিতে শুরু করে। গত মৌসুমে ওই গাছে প্রায় অর্ধ শতাধিক কাঁঠাল ধরেছিল। মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও গাছে এখনও একটি কাঠাল আছে। এবার মৌসুমে ওই গাছে মুচি আসতে শুরু করেছে।

লিয়াকত আলী জানান, তার নানা সুলতান আলী সেখ বাজার থেকে কিনে আনা কাঁঠাল থেকে বীজ সংগ্রহের পর রোপন করেছিলেন। নানার লাগানো সেই গাছটি কেটে ফেলার আগে ৪/৫ টি বীজ রোপণ করেছিলেন। ২/১ টি বাঁচে। মৌসুম শেষ হওয়ার পরেও সেই গাছের কাঁঠাল থাকছে। দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আকারভেদে একেকটি কাঁঠাল সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে বিক্রি না করে নিজে ও আত্মীয় স্বজন মিলে কাঁচা-পাঁকা খান। গাছে যেটি রয়েছে তার ওজন ১০ কেজির বেশি হবে।

পাশের অমরপুর গ্রামের টিপু মন্ডল বলেন, আমি এই কাঁঠাল খেয়েছি। খাওয়ার সময় হাতে কোনো আঁঠা লাগেনি। মিষ্টি কিছুটা কম হলেও খেতে বেশ মজা। বিচি এনে দুটি চারা বাড়িতে রোপণ করেছিলাম। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে চারা দুটি মারা গেছে। আবারও চারা সংগ্রহ করে বাড়িতে রোপণের ইচ্ছা আছে।

অন্যদিকে,মৌসুম শুরুর আগেই আগাম কাঁঠাল ধরেছে গৌরঙ্গপুর গ্রামের ইউনুস আলীর কাঁঠাল গাছে। ১৯৬৪ সালে বিনিময় করে এই গ্রামের আসার কয়েক বছর পর থেকে কাঁঠাল গাছটিতে আগাম কাাঁঠাল ধরতে দেখছেন বলে জানান। এই কাঁঠাল খেতেও সুস্বাদু। খাওয়ার সময় কচকচ শব্দ করলেও হাতে বা মুখে কোনো আঠা লাগে না।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, তার উপজেলায় আগাম ফল ধরার গাছ থাকলেও জৈষ্ঠ্যর কাঁঠাল এই অসময়ে গাছে থাকার বিষয়টি নজরে ছিলনা। খোঁজ খবর নিয়ে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিএআরআই গাজীপুরের ফল বিভাগের উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো.জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে কাঁঠালের অসংখ্য জার্মপ্লাজম রয়েছে। কিন্তু এগুলো নিদিষ্ট কোন নাম নেই। এদেশে চাষকৃত জাতগুলোকে শ্বাসের বুনটে বা ধরনের উপর ভিত্তি করে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথা খাজা বা শ্যাওলা (শাঁস শক্ত ও কচকচে।) গালা বা রসা(শাঁস অত্যন্ত নরম ও রসালো)। এবং দো-রসা বা আধারসা(শাঁস মাঝারি শক্ত ও রসালো)।

অসময়ে ‘কাঁঠাল’ প্রসঙ্গে বলেন,কাঁঠালের হারভেস্টোর টাইম (আহরণের সময়) আসেনি। পুরাতন গাছ হলে আগাম ফল আসতে পারে। বারোমাসি কিছু কাঁঠালও সারাবছর পাওয়া যায়। তবে দেশীয় জাতের কাঠাল গাছের বয়স বেশি হলে, এক মৌসুমের কাঁঠাল আরেক মৌসুম আসা পর্যন্ত থাকতে পারে। এর সংখ্যা খুবই কম। তিনি জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বাসায় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারি কাঁঠাল-১,বারি কাঁঠাল-২, বারি কাঁঠাল- ৩, বারি কাঁঠাল-৪, বারি কাঁঠাল-৫ ও বারি কাঁঠাল ৬ নামে কাঁঠালের ছয়টি উন্নত জাত কৃষক পর্যায়ে চাষের জন্য মুক্তায়িত করেছে। বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষযোগ্য ও নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল।

বারি কাঁঠাল-১: (মে-জুন বা জ্যৈষ্ঠ) আগাম জাত। গাছ খাড়া প্রকৃতির ও মধ্যম ঝোপালো। গাছ প্রতি ১২৫টি ফল ধরে যার ওজন ১১৮১ কেজি। বারি কাঁঠাল-২: অমৌসুমী জাত। গাছ খাড়া প্রকৃতির ও মধ্যম ঝোপালো। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়। গাছ প্রতি গড়ে ৭৯টি ফল ধরে যার ওজন ৫৫০ কেজি। বারি কাঁঠাল-৩: বারোমাসি জাত (সেপ্টেম্বর- জুন)। গাছ খাড়া প্রকৃতির ও মধ্যম ঝোপালো। সেপ্টেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়। গাছ প্রতি ২১৯-২৪৫টি ফল ধরে যার যার ওজন ১১৮৯- ১৩৩২ কেজি। বারি কাঁঠাল-৪: মৌসুমী জাত। ফলের উপরের পৃষ্ঠ দেখতে সবুজাভ বাদামী বর্ণের। ফলের গড় ওজন ৫.৬৮ কেজি। বারি কাঁঠাল-৫: অমৌসুমী জাত। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়।

গাছ বিস্তৃত ডাল- পালা বিশিষ্ট, সতেজ ও সবুজ। উচ্চ ফলনশীল। গাছের বয়স অনুপাতে প্রচুর ফলদানকারী। ফলের গড় ওজন ৪.০ কেজি। বারি কাঁঠাল-৬: বারোমাসি জাত। বিস্তৃত ডাল-পালা বিশিষ্ট, সতেজ ও সবুজ। উচ্চ ফলনশীল। গাছের বয়স অনুপাতে প্রচুর ফলদানকারী। ছোট গাছে অর্থাৎ দেড় থেকে দুই বছরের গাছে ফল ধরে। ফলের গড় ওজন ৩.৯৩ কেজি, এ জাতটি রপ্তানি উপযোগী। কোনো উদ্যোক্তা যদি এই কাঁঠাল চাষে এগিয়ে আসেন, তাহলে সহযোগিতা করব।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট