আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরনে (২৯ নভেম্বর) শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এক স্মরণসভা আয়োজন করা হয়। শুরুতেই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
নিহতদের পরিবারের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ সেলিম তালুকদারের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী।বক্তব্যে আবেগ আপ্লুত হয়ে পরেন তিনি।অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি সকলের কাছে তার গর্ভের অনাগত সন্তানের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন,তার শহীদ স্বামীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। যাতে এই শহীদদের রক্ত বৃথা না যায় সেজন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
শহীদ সেলিম তালুকদারের বাবা তার বক্তব্যে আপ্লূত হয়ে অসহায়ত্ব সন্তান হারানোর কথা বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পরেন।তিনি সেলিম তালুকদারের কবর জিয়ারতে যাওয়ার সড়কটি সংস্কার করে দেয়ার দাবি জানান। এমসয় সড়কটি শহীদ সেলিম তালুকদারের নামে নাম করনেরও দাবি জানান। শহীদ নাঈমের পিতা তার বক্তব্যে প্রশ্ন তুলে বলেন,ছাত্রদের ন্যায্য দাবিতে কেন পাখির মত গুলি করে মারা হলো? কত মায়ের বুক খালি করা হলো এর যাতে বিচার হয়? তিনি সন্তানকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায়।মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এসময় আন্দোলনে আহতরাও বিভিষিকাময় সেই আন্দোলনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন।নিজেদের শারিরীক নানান সমস্যার কথাও তুলে ধরনের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:শিউলি পারভীন,উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা,নলছিটি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন,ফায়ার স্টেশন অফিসার,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামি নলছিটি উপজেলার নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক এবং সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আহতদের সুস্থতা এবং শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।#