৮০ র দশকে কিছু কিছু জাম গাছ বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যেত। জৈষ্ঠ্যমাসে গাছে গাছে পাকা জাম পাড়ার জন্য বালককেরা গাছে উঠে জাম পেড়ে লবন, মরিচ দিয়ে মেখে সকলে মিলে আনন্দ করে জাম খেয়ে মুখ জিহবা রংগিন করে ফেলতো।
আমাদের পুকুর পাড়ে কয়েকটি বড় বড় জাম গাছ ছিল। মা দুপুরে গোসলের আগে জাম পাড়ার জন্য বললে আনন্দে জামের গাছে উঠে ডালে ঝুাকুনি দিলে পাকা পাকা জাম ঝর করে নীচে নেটের জালে পড়তো।আমার মা চাচীরা গোল হয়ে নেটের জাল ধরে থাকতেন। জাম গুলি বাসায় নিয়ে মা লবন মরিচ শরিশার তেল, জিরা গুড়া দিয়ে মেখে সকলকে খেতে দিতেন।সেই জাম খেয়ে কত খুশি হতাম সকলে।
জাম পাড়াতে গাছে উঠে কত ছেলেরা পড়ে হাত,পা ভেঙেছে।আজ সবই বেদনা দায়ক স্মৃতি। আমার মা আজ ১১২ বছরে বেঁচে আছে কিন্তু জাম গাছ গুলি আর নেই। অতীতের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি গুলো মনে হলে বুকটা টন টন করে উঠে।
আজ মায়ের জন্য ৬০/- দিয়ে এক কেজি জাম কিনেছি মাকে খাওয়া বো বলে। জাম গাছ গত বছর লাগিয়ে ছিলাম কিন্তু গাছটি বেঁচে নেই মরে গেছে। আশ করেছি এবার আবার লাগাবো।
জাম একটি পুষ্টিকর ঔষধী ফল।সকলের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, আসুন সকলে মিলে অন্য ফলের মত প্রচুর পরিমাণ জাম গাছ লাগান।
বেশী বেশী গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান।#