বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত এ আদেশ দেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ১২ আসামি হলেন- আমান দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, সুমিত দাস, বিশাল দাস, সনু দাস মেথর, সুমন দাস, রাজেশ দাস, দুর্লভ দাস, জয় নাথ ও অজয় সূত্রধর চৌধুরী।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান জানান, পুলিশের ওপর হামলার দুই মামলায় ১২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মফিজুর রহমান আরো বলেন, এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
পরদিন বেলা ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষে পুলিশের ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৪০ জন।# আনন্দবাজার