
মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের ঘটনায় মূল আসামি ঘাতক ভাতিজা ও তার পিতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫, রাজশাহী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২ নভেম্বর ২০২৫) ভোরে রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হারুপুর বাগানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রবিন চন্দ্র রায় (২০) এবং তার পিতা ও মামলার ২নং আসামি সুকুমার রায় (৫০)–কে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার আইহাই রাহী গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, গত ১১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভিকটিম পর্বত রায় ও তার বড় ভাই সুকুমার রায়–এর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সুকুমার রায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকাকালে পর্বত রায় পিছন থেকে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুকুমার রায় পাল্টা আঘাত করেন এবং তার ছেলে রবিন চন্দ্র রায়ও সেখানে উপস্থিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পর্বত রায়ের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত পর্বত রায়কে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে, পরদিন (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।
র্যাব-৫ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে অভিযান পরিচালনা করে পিতা-পুত্র দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁদের গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫। র্যাব-৫-এর মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি ইতোমধ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।#