
# গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক মাস ধরে ফসলি জমির মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নের কাপাসিয়াপাড়ায় ভেকু দিয়ে অবাধে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাক ও ট্রলি গাড়ির সাহায্যে বিভিন্ন ভাটায় নিয়ে পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। জমির মালিককে নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী। এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবাধে চলছে মাটি কাটা। এসব মাটি ট্রলি-ট্রাক্টরের সাহায্যে বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। দিন-রাত এভাবে মাটি ভরাট ট্রলি- ট্রাক্টরের গাড়ি চলাচলের কারণে গ্রামের সড়কও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। পাশাপশি ট্রলিতে থাকা মাটি সড়কের ওপর পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রায় সময়ই এসব রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সারা দিন ভেকু ও ট্রলি চলতে থাকায় ধুলোবালি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নের কাপাশিয়াপাড়া গ্রামে জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। আর এসব মাটি কেটে ট্রলির সাহায্যে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও অবাধে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা। ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার ফলে পার্শ্ববর্তী জমিগুলোও পড়ছে হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে ট্রাক্টর সমিতির সভাপতি জহরুল বলেন, আমরা ড্যাং মাটি কাটছি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্মকর্তার কাছে অনুমতি নিতে হবে এমনটি আমার জানা ছিল না।’ বিষয়টি তিনি জানলে আগেই অনুমতি নিতেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাদাত রত্ন বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত হয়েছি, অবৈধভাবে মাটি কাটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা অবৈধভাবে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুতই নেওয়া হবে।#