মোঃ ইমরান, বটিয়াঘাটা, খুলনা………………………………………………………..
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ৭১/২৮ মার্চ দখল করে, এর পর থেকে বটিয়াঘাটা উপজেলা সহ আস পাসের এলাকায় স্থানীয় সুযোগ সন্ধানীদের লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, হামলা দখলের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলে। বিশেষ করে খুলনা অঞ্চলের বটিয়াঘাটা উপজেলায় লুণ্ঠনকারীরা ছিলো খান এ সবুরের লোকজন।
তারা ৭১ এর ১৬ সেপ্টেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখানি ইউনিয়ন এর গজালিয়া স্লুইসগেট সংলগ্ন গণহত্যা সংগঠিত করে। রাজাকারেরা অভিযান চালায়, সকাল থেকে পুরো দিন বাড়ি ঘর লুটপাট করে মুক্তিকামি দের ধরে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়েআসে, রাত ১০ টার পর চোখ বেধেঁ পিছনে হাত বেধে গজালিয়া গেটের পশ্চিম দিকে খেজুর গাছের পাশে দাড় করিয়ে গুলি করে, আনুমানিক ১৫ জন মুক্তিকামি ও সাধারণ মানুষকে হত্যাকরে।
এ গণহত্যা নিহতদের মধ্যে অন্যতম ছিলো সুরখালি ইউনিয়ন এর তৎকালীন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবদুল ওহাবের পুত্র আবদুল হামিদ সরদার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সরদার অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১ নং জলমা ইউনিয়ন এর সরদার বাড়িতে বোমা তৈরির সহযোগিতা করতেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ এর ছোটো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্নান সরদার সাংবাদিক ইমরান কে বলেন, আমার বড়ো ভাই শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদ সরদার শবেবরাতে খুলনায় এক সফল অপারেশন শেষ করে বাড়ি আসেন মিলাদ পড়ার জন্য। আমরা সম্রান্ত মুসলিম পরিবার এর সন্তান রাজাকার নিশ্চিত ছিলো হামিদ সরদার বাড়িতে আসবে, রাজাকারেরা আমাদের বাড়ি চারপাশ কড়া নজর দারি করে। আমার ভাই হামিদ সরদার বাড়িতে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে ভাই হামিদ সরদার কে তুলে নিয়ে যায়। ভাই সহ আরো অনেককে রাতের আঁধারে নৃশংস ভাবে হত্যা করে গজালিয়া স্লুইসগেটের পানিস্রোতে ভাসিয়ে দেয়।#