1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান  উপ-সম্পাদকীয়ঃ সীমান্ত হত্যা আর কত ! মোহনপুরে বাজার বণিক সমিতির সাথে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও সূধী সমাবেশ রূপসায় খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত অনিয়মঃ তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাচার রোধে হট্টগোল মারপিট গাইবান্ধা সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মামলায় ,  গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট বাঘায় নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচে হাজারো দর্শক পরমাণু বোমা ইরানের হাতের নাগালে

কুড়িগ্রাম এ বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
  • ১০৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

#আরিফুর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে………………………………………………………

 

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। জেলায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বর্ষণ ও উত্তরের ঢলে বন্যা পরিস্থিতির এই অবনতির ফলে খাদ্য ও গো-খাদ্য সংকটে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। চর ও দ্বীপচরগুলো প্লাবিত হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও।ভারী বর্ষণে । শুক্রবার (১৭ জুন) থেকে কুড়িগ্রাম-রমনা (চিলমারী) রেলপথের কাছাকাছি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ওই রেলপথে রমনা কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ কর্তৃপক্ষ । পরিস্থিতি ভালো হলে পুনরায় চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে।দুই

 

সপ্তাহের অধিক সময় ধরে টানা বর্ষণ, পাহাড়ী ঢল নেমে আসা পানি ও সীমান্তের ওপার থেকে বিভিন্ন নদ নদী দিয়ে নেমে আসা পানিতে জেলার রৌমারী উপজেলায় এক সপ্তাহের অধিক সময় থেকে পানিবন্দি শত শত পরিবার, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার নদ-নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, চিলমারী, উলিপুর, রাজিবপুর , রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম সদরের শত শত গ্রাম, পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।

 

ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় কলার ভেলা ও নৌকায় অবস্থান নিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। বন্যার্ত মানুষগুলো যখন নিজের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত তখন মাঠ-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চারণভূমি সংকটের কারণে গো-খাদ্য সংকটে পড়েছে গৃহপালিত গবাদিপশু। কর্মহীন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। একদিনের ব্যবধানে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া জেলার নিম্নাঞ্চল, চরাঞ্চল, নদীপারের লোকজন দু-একদিনের মধ্যেই খাদ্য সঙ্কটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।নতুন করে কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা, পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, সারডোব ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়েছে কয়েক শত পরিবার। শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো।

 

দিনের কোন না কোন সময়ে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় নতুন করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ও যাত্রাপুর ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কদমতলা, নওয়াবশ, গারুহারার একাংশ, পোড়ারচর ও পূর্ব তিন হাজারী, মুছল্লীপাড়া, কালির আলগা, মণ্ডলপাড়া, পশ্চিম মুসল্লি পাড়া, ঝুনকার চর, ভগবতীপুর ও পার্বতীপুর এলাকা প্লাবিত হয়ে শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে।

 

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর, রলাকাটা, খেয়ার আলগা, বড়ুয়া ও মাঝিয়ালির চরের প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় নতুন করে পানি ঢুকে পড়ায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে, নির্ঘুম রাত পোহাচ্ছে পানিবন্দি মানুষ।নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমর নদীর পাড়ে দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম।

 

কালিগঞ্জ ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজুল জানিয়েছেন ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কাঞ্চার মোড়, কুমেদপুর, ঢেবঢেবী, মেদনী পাড়ার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।চিলমারী উপজেলার চিলমারী, অষ্টমিরচর, নয়ারহাট ইউনিয়নে পানি ঢুকে পড়ায় রানীগঞ্জ সহ নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে দূর্ভোগে পড়েছে কয়েকশো পরিবার।রাজারহাট উপজেলার রতিগ্রাম, বিদ্যানন্দ, চর খিতাব খাঁ, ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বুড়িরহাট, মেদনী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে কয়েক শত পরিবার।উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।

 

দূর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার আব্বাস আলী বলেন, এ এলাকায় সরকারপাড়া, ফারাজী পাড়া, ফকির মাহমুদ, সায়ানি পাড়া, কিশামত ফুলবাড়ী প্রভৃতি এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।শুক্রবার ১৭ জুন দুপুরের পরপরই জেলার দুধকুমর, ফুলকুমর, ধরলা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। এসময় ধরলা সেতু পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও দুধকুমরের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। এরপর ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তা বেড়ে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার নিম্নাঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন, বন্যার্তদের সহায়তায় এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ লাখ টাকা, ২০ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশুখাদ্য ক্রয়ের জন্য ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সবুর মিয়া জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, ২২ জুন পর্যন্ত আকাশ দিনের যেকোনো সময় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং মাঝারি বা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।শনিবার, ১৮ জুন পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ধরলার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমা ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

এদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় এগুলো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।#

আরজা/০২

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট