1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান  উপ-সম্পাদকীয়ঃ সীমান্ত হত্যা আর কত ! মোহনপুরে বাজার বণিক সমিতির সাথে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও সূধী সমাবেশ রূপসায় খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত অনিয়মঃ তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাচার রোধে হট্টগোল মারপিট গাইবান্ধা সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মামলায় ,  গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট বাঘায় নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচে হাজারো দর্শক পরমাণু বোমা ইরানের হাতের নাগালে

উপ-সম্পাদকীয়: বাংলাদেশে কিসের আলামত !

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জামান আহম্মেদ……………………………..

ভাবতে অবাক লাগছে গমের আটা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে, প্যাকেট ৭৫-৮০ টাকা। স্বাধীনতার পর আটার দাম সবোর্চ্চ এটাই প্রথম।সারা দেশের মানুষ চরম চিন্তায় পড়েছে। তারা ভাবছে দেশের এ অবস্থা দেখে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসির দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে অথচ সরকার এবং সরকারের প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে, ঘটনা কি? কেন সরকার  খাদ্র দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে কাযর্কর ভূমিকা নিচ্ছে না। তাহলেকি দেশ মহাসংকটের দিকে ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। বাংলাদেশের লোক ১৯৭৪ এর খাদ্য সংকট বা সোমালিয়ার খাদ্য সংকট প্রত্যাশা করে না। তারপর মানুষ ভাবছে এটা কিসের আলামত?ভয় করছে স্বাধীনতার পরবর্ী সময়গুলোর কথা ভেবে।

 

দেশের মানুষ চরমভাবে শংকিত, যদি সেরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তবে কি নিয়ে কিভাবে মোকাবেলা করবে, উত্তোরণের পথ বা কি। সাধারণ মানুষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

 

খাদ্য সংকট মোকাবেলা করার জন্য সরকার অবশ্য কাজ করছে, টিসিবির মাধ্যমে প্রতিমাসে তেল, চিনি ও ডাল অভাবী মানুষের মধ্যে বন্টণ করছে কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষ এসুযোগ পাচ্ছে। এ সুবিধার আওতায় খোলাবাজারে আটা ও চাল নায্য মূল্যে সরবরাহ করছে সরকার টিসিবির মাধ্যমে কিন্তু সুষ্ঠু নীতিমালা না থাকায় যাদের পাওয়ার কথা তারা অনেকেই পায় না। সুষ্ঠু নীতিমালা, অসম বন্টণ, সুষ্ঠু তদারকির অভাব, ব্যাপক অনিয়ম, চোরাইভাবে বেশি দামে বিক্রি করায় খোলাবাজারের আটা ও চাল মানুষের দোড় গড়ায় পৌছাতে টিসিবি অনেকাংশৈ ব্যাথর্তার পরিচয় দিয়ছে।বাণিজ্য মন্ত্র‌ণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোর্রেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে তাদের কোনরকম তদারকি না থাকায় যা হবার তাই হচ্ছে। এতে করে সরকারের আসল উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।মনে হচ্ছে সকল অনিয়মের পিছনে টিসিবি কোন হাত রয়েছে। এরা বতর্মান সরকারকে বিপদে ফেলার একটা ষড়যন্ত্র করছে নাতো? সরকারকে এবিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ চাহিদা বাড়িয়ে বেশি পরিমাণ পণ্য বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে এবং সুষ্ঠু নিয়ম নীতির মাধ্যমে বন্টণের ব্যবস্থা করতে পারলে অসহায়, গরীব অসুস্থ, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীরাও বেঁচে থাকতে পারে। বাজারে চাল, ডাল  আটা এবং তেলের দাম রয়েছে অত্যাধিক মাত্রায়, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, যারা এখনও কিনে খাচ্ছে তারা আগামীদিনগুলো নিয়ে হতাশায় ভুগছে।আগামীতে যদি এভাবে খাদ্র্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে অনেকেই চরম খাদ্য সংকটে পড়বে। টিবিবি’র সরবরাহকৃত সিস্টেম পরিবতর্ন করে দেশের খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠা না পয়র্ন্ত টিসিবি পণ্য সরবরাহ আরো বাড়িয়ে দিতে হবে, সে সাথে দূনীর্তি রোধ করতে জোরালো কাযর্কর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বিশেষ প্রয়োজন।। এজন্য সরকারকে এদিকে আরো বেশি বেশি নজর দিতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে যেন কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে সরকার ও সরকারের প্রশাসনকে আরো সজাগ হতে হবে। মনে রাখতে হবে কোনভাবেই কোন অনিয়ম দূনীর্তি বাসা বাঁধতে না পারে।

 

টিসিবি’র পণ্য কারা পাচ্ছে? যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ভাল, বাইরের বাজার থেকে কিনে খাওয়ার সমর্থ্য আছে, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত, কিংবা এলাকার মাস্তান এরাই টিসিবি’র কার্ড অহরহ পাচ্ছে এবং একই পরিবারে ৩/৪টা করে পাচ্ছে।ফলে সাধারণ , অসহায় অসুস্থ কিংবা অতি দরিদ্র লোক টিসিবি’র কার্ড পেতে কাঠ খড়ি পোহাতে হয়। যাদের ভাগ্য ভাল তারাই শুধু পেয়ে থাকে আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত অসহায় ব্যক্তি শূণ্য হাতে ফিরে যায়।আবার যারা পেয়েছিল অন্যমাসে তারাই পেয়ে থাকে। প্রতিবাদ করে কোন লাভ হয় না।এভাবেই চলছে টিসিবির খাদ্য বিতরণ কমর্সূচী। লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড না দিয়ে রেশনিং সিস্টেম চালু করা যায় কিনা তা নিয়ে মন্ত্রলায়কে ভাবতে হবে।

 

প্রশাসনের নজরদারী বাড়িয়ে ঝটিকা অভিযান চালাতে হবে ঐসব মজুদ রাখা গুদামগুলোতে। যাতে করে অধিকমাত্রায় কোন খাদ্য মজুদ রেখে অধিক মুনাফার দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে অসাধুব্যবসায়রা তা করতে দেয়া যাবে না।আর যদি দেশে গমের মজুদ না থাকে তবে সরকারকে এখনই বিদেশ থেকে আমদানী করে আটা/ ময়দা সংকট মোকাবেলায় কাযর্কর ব্যবস্থা গ্রহণ কররেত হবে যতক্ষণ না দেশে গম উৎপাদন হয়। সে সাথে দেশে গমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে হবে, সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে নিদের্শনা জারি করতে হবে।

 

দেশে একটি রাজনৈতিক দল তথা বিএনপি এ সুযোগে অগ্রীম নির্াচনী প্রচারে নেমেছে এবং তারা এটাই প্রচার করছে যে দেশে চরম খাদ্য সংকটের আশংকা। আওয়ামীলীগ সরকার দেশ চালাতে পুরোপুরি ব্যার্ হয়েছে তাদের ভাষায়। ‍কিন্তু আসলে কি তাই! আমরা বলবো চাল, ডাল তেল, আটার দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা সত্য, মানুষ কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছে এটাও সত্যি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চিত্র দেখে বাংলাদেশের মানুষও চিন্তিত তবে দূভির্ক্ষ নয়, এটা একটা সংসট। আর এসংকট আমারাই সমাধান করতে পারি, এজন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা। এজন্য বতর্মান সরকারকে সকল সংকট মোকাবেলা করে দেশের জনগণকে দেখিয়ে দিতে হবে যে কোন দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ হলে সারা বিশ্বের এর একটা প্রভাব পড়তে পারে, যা বাংলাদেশেও পড়েছে।একা বাংলাদেশের সংকট নয় এটা সারা বিশ্বের সংকট। এ সংকটে বাংলাদেশ জয়ী হবেই হবে। এ সংকট মোকাবেলা করার শক্তি বাংলাদেশের আছে ইনশাল্লাহ।

 

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় আর ’৭৪ এর দূভির্ক্ষ দেখতে চাই না, আমার চায় একাবিংশ শতাব্দীর উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে পরিচয় করিয়ে দিতে, চাই সুন্দর একটি দেশ, যে দেশে থাকবে না কোন মারামারি, দলাদলি, অনিয়ম, দূনীর্তি, অভাব, ক্ষুধা  এবং দারিদ্র্য।সবার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে পারি ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার ওপরে ঠেকায় মাথা……..#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট