1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
শিবগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নরসিংদীতে সাংবাদিকের বাড়ি ভাঙচুর ও জমি দখল ১ লাখ টাকার ক্ষতি, থানায় মামলা ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আক্তার জামিল তানোরে আলু বীজ নিয়ে প্রতারণায পথে বসছেন প্রান্তিক ১০ আলু চাষি  শিবগঞ্জে নবাগত ইউএনও’র যোগদান তানোরে অসহায় ১০০ মানুষের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ  চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের শিবাখালী গ্রামের রাস্তা পাকা করার দাবী ২১ কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগে রাসিকে দুদকের অভিযান গাইবান্ধার  নলডাঙ্গাকে উপজেলা ঘোষণা এলাকাবাসির প্রাণের দাবি গোদাগাড়ীতে বিএমডিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ

আজ ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: আজ ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর দখল মুক্ত হয়েছিল জেলা ।

মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় পিছু হাঁটা পাক হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে গোপনে মেহেরপুর ছাড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের পক্ষে ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক। অন্যদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন,পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক প্রমুখ।

১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর গাংনী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিতমুক্তি বাহিনীর অ্যাকশন ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনীও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিতভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করেন। সীমান্তে পাকবাহিনীর স্থাপন করা অসংখ্য মাইন অপসারণের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর হানাদার মুক্ত হয় ৬ডিসেম্বর।

ওই দিন মেহেপুরের জনসাধারণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের লোক একযোগে রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাস করেন। এর আগে, তৎকালিন সময়ে ছাত্র-জনতা, আনসার-মুজাহিদদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়।

মুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণ করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ পাঠান জানান, ১৮ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অস্ত্র¿সজ্জিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সড়ক পথে মেহেরপুর প্রবেশ করার সময় সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে উপুর্যপুরি হামলা চালায়। এর এক সপ্তাহের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিউট ও কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাক বাহিনী তাঁদের শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তোলে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে দিশেহারা পাক সেনারা মেহেরপুর থেকে পালাবার সময় দিনদত্ত ব্রিজ, খলিশাকুন্ডি ও তেরাইল ব্রিজ এবং বৈদ্যুতিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে।

তিনি জানান, দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকেই পাক বাহিনী গোপনে মেহেরপুর ছেড়ে পালাতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিবাহিনী মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করলে অবরুদ্ধ জনতা তাদের সঙ্গে বিজয়ের উল্লাসে যোগ দেয়। এদিন লাল-সবুজের পতাক টাঙ্গিয়ে দেয় স্বাধীনতাকামি জনতা।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে জেলার ভাটপাড়া থেকে অনতিদূরে সাহারবাটি টেঁপুখালি, হিন্দা, লক্ষ্মী নারায়ণপুর, ধলা,গাড়াবাড়িয়া, জোড়পুকুরিয়া, ভোমরদহ, ধর্মচাকীর বহু মানুষ গনহত্যার শিকার হন। ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে লাল-সবুজ পতাকায় মুক্ত হয়ে ওঠে মেহেরপুর।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট