1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
পাবনার চাটমোহরে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে আওয়ামীলীগ নেতা  ছকির উদ্দিন গ্রেফতার রাজশাহীতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই রাজশাহীতে কোল্ড স্টোরেজে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আবারো রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ করেছে কৃষকেরা রাজশাহীতে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের বিক্ষোভ গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত গোবিন্দগঞ্জে সাড়ে ৯ কেজি গাঁজাসহ পুলিশের এএসআই গ্রেফতার  হরিপুরে আগুনে পুড়ে ছাই তিনটি বসত ঘর নরসিংদী পাঁচদোনা মূলপাড়ায় ভুয়া সমন্বয়ক শাহজালাল আকাশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী বাঘায় শান্তি ও সম্প্রীতিতে করণীয় শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনও বৈষম্যের শিকার: খুলনায় মিয়া গোলাম পরওয়ার

অপরাধঃ সেই আগের খোলসে তানোর থানার পুলিশ, এখনো কাটেনি ঘোর! ওসির নিরবতা রহস্যজনক

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৮৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি-

রাজশাহীর তানোর থানার এসআই নজরুল ইসলামের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের জনসাধারণ বলে অভিযোগ উঠেছে। এসআই নজরুল চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের বিট অফিসারের দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সকাল বিকেলে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিরীহ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

জানা গেছে, চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের কিছু নামধারী পাতি নেতার যোগসাজশে এসআই নজরুলের এ দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। অভিযানের নামে নিরীহ মানুষদের আটক করে বিভিন্ন অজ্ঞাত রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্ত করে চালান দিচ্ছেন এসআই নজরুল।

সম্প্রতি, চলতি মাসের (১৩ ফেব্রুয়ারি) চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের গাগরন্দ গ্রামের নুরনবী নামের এক নিরীহ কৃষককে কালীগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে আটক করে রাজনৈতিক অজ্ঞাত মামলায় আসামি করে চালান দেয়া হয়। যা নিয়ে রীতিমতো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার ঝড় বইছে।  সাধারণ মানুষের অভিমত, যেখানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি ও মানুষ হত্যার ঘটনায় শহীদ পরিবার গুলোর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে গত ২৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই ক্ষমা চেয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের চার মাস পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করে ছিলেন। এতে করে পুলিশ প্রধানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে করেন গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যাক্তিদের পরিবার এবং আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষক ও অধিকারকর্মীরা। তবে তাদের দাবি, যাদের নির্দেশে ও যাদের গুলিতে নির্বিচার মানুষ হত্যা করা হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

গত ২১ নভেম্বর আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাহারুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে এ কথা বলেন। তিনি সেই সম্মেলনে আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ পুলিশ এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। পুলিশের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, পুলিশের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। নিরপরাধ কেউ মামলার আসামি হলে তাঁকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি। অথচ তার উল্টো চিত্র রাজশাহীর তানোর থানায়।

তানোর থানার পুলিশ প্রধানের নির্দেশনা অমান্য করে স্থানীয় কিছু কতিপয় বিএনপি’র নেতার নির্দেশে চলছে গণ গ্রেফতারের হিড়িক। আটক নুরনবীর পরিবারের সদস্য রা উপস্থিত হয়ে এসআই নজরুলকে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে এসআই নজরুল বলেন তিনি আওয়ামী লীগের বড় নেতা, স্থানীয় বিএনপির এক সিনিয়র নেতার চাপ আছে, এজন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা না হলে আমার চাকরি থাকবে না। নুরনবীর পরিবার থেকে বার বার বলা হচ্ছিল তিনি কৃষক তিনি কৃষক কোন দল করেন না, সে এমনকি কোন দলের পথ/পদবী/কর্মীর বা সদস্য পদেও তার নাম নেই, এটা আপনি যাচাই করে দেখতে পারেন।

কিন্তু কে শুনে কার কথা। এস আই নজরুলের একই কথা তাকে ছাড়া যাবেনা, তাকে ছাড়লে আমার চাকরি থাকবে না। তবে সে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুম দেখিয়ে দিয়ে বলে ওখানে কথা বলেন।  এবার নুরনবীর পরিবারের দুই ছেলে ও এক মিয়ে ওসি সাহেবের কাছে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা চান্দুড়িয়া ইউপির বিষয় ওখানের (বিট অফিসার) এস আই নজরুল তার সাথে কথা বলেন তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এবার চললো ওসির রুম ও এসআই এর রুমে চক্কর,ততক্ষণে কৃষক নূরনবী থানা হেফাজতে কাস্টরিতে রাত যখন ১২ট ছুই ছুই তখন থানা থেকে বলা হয়, নুরনবী কে কামারগাঁ ইউপির একটি মামলার অজ্ঞত নামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কৃষক নুরনবীর ছেলে হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক   (নয়ন) বলেন, আমার বাবা সহ আমার পরিবারের তিন জন পুরুষ মানুষ আছে,আমরা কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত নই, আমরা শুধু ভোটার এখন ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তানোরের ৭০% মানুষের মুখে আওয়ামী লীগের গুনগান শুনেছি, এমনকি তানোর উপজেলার দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউপিতে আওয়ামী লীগ সহ সংগঠনের প্রায় ৩৫.০০০ হাজার নেতাকর্মী থাকতে আমার বাবাকে পুলিশ ধরলো কেন? ধরার কারণ হিসেবে অবশ্যই নয়ন অকপটে বলেন, তাদের বাসার পাসে একটা বিএনপি নেতার সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। এই সুযোগে চাঁন্দুড়িয়া ইউপির এক নেতার ইন্ধনে তার বাবাকে ধরা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বর্তমান তানোর থানার পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন, পুলিশ এখনো পরিবর্তন হতে পারেননি এইতো কয়েক মাস আগেই ছাত্র জনতা ও সকল শ্রেণী পেশা মানুষের অংশগ্রহণে দেশ একটি নতুন অধ্যায় পেয়েছে। পাশাপাশি স্বাধীনতা পেয়েছে কিন্তু আমাদের তানোর থানা পুলিশের চিত্রটা আগের চেয়ে এখন আরো ভয়াবহ হয়ে গেছে। যাকে যেভাবে যে অবস্থায় পাচ্ছে তুলে নিয়ে গিয়ে পরে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। শুধু কিছু কতিপয় মানুষের কথায় এমনকি বিএনপি’র এক শ্রেণীর নেতাদের সাথে যোগসাজশে করে এ গ্রেফতার বাণিজ্য চলছে।

আসলে যারা এগুলো করছেন সেই পুলিশ কর্মকর্তারা কি একবারও ভাবছেন না, একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নামে মামলা হলে সেই পরিবারের অবস্থাটা কেমন হয়, তা একবারও তারা উপলব্ধি করতে পারে না। সুশীল সমাজ আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার দোসরদের বিচার বাংলা জনগণ চাই কিন্তু এই বিচারের দায়িত্বটা থাকবে দেশের আইন ও আইনের মানুষের কাছে, আর এটাই হওয়া উচিত কিন্তু সরজমিনে দেখা মিলছে দিন দিন তানোর থানার কিছু কর্মকর্তা আস্থা ফেরার চেয়ে আস্থা হারাচ্ছেন বেশি।

এমন পুলিশ আমরা চাই না, এই ছাত্র সমাজের ত্যাগের বিনিময়ে গড়া এস্বাধীন দেশে। এবিষয়ে তানোর থানার এসআই নজরুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান মিজান জানান, এবিষয়ে এসআই নজরুল ইসলাম সবকিছু জানে, তার সাথে যোগাযোগ করেন, সে ভালো বলতে পারবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট