মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমকে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম জননেতা তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী এবং বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মা।
ষাটের দশক থেকেই তিনি রাজনৈতিক ময়দানে ভূমিকা রাখছেন। আইউববিরোধী আন্দোলনে সম্মুখসারিতে ছিলেন নার্গিস বেগম। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর দীর্ঘকাল অধ্যাপনার সাথে যুক্ত থাকলেও তার মেধা প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা সবই ছিল রাজনীতি কেন্দ্রিক। বৃহত্তর যশোরের সর্বত্র তিনি বিএনপির রাজনীতির জন্য ঘুরেছেন। আজীবন মরহুম তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী হিসাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্বামী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুর পরও তিনি দলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকেছেন এবং সংগঠনের কাজ চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে যশোর বিএনপি সংগঠিত থেকেছে এবং বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। সম্প্রতি যশোর জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন। নেতৃত্বে নতুনদের স্থান করে দিতেই পদ ছেড়ে দেন বলে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন।
অধ্যাপক নার্গিস ইসলাম বলেন, আমি চিন্তাভাবনা করেই আহবায়কের পদ ছেড়ে দিয়েছি। নতুন করে সভাপতি হিসাবে পদে থাকার কথা ভাবিনি। এদিকে, অধ্যাপক নার্গিস বেগমকে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করায় বৃহত্তর যশোরের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, দলে তার দীর্ঘদিনের অবদান এবং ত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে বসিয়েছেন। এজন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। তারা আশা করছেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন এবং যশোরসহ পুরো খুলনা বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও মজবুত করবেন।#