# নিজস্ব প্রতিবেদক…………………………………………
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ডাইংপাড়ার জীবন বাস্কির ছেলে কৃষক রুবেল বাস্কিকে মিথ্যা মাদকের মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মাসের ৩১ তারিখ মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর “ক” সার্কেল রাজশাহীর পরিদর্শক মোস্তফা জামান এই কর্মটি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।মোস্তফা জামান এ নিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সনের ৩৬(১) সারণীয় (ক) ও ৩৭ ধারায় রুবেলকে (২৮) আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
রুবেল বাস্কী ও তাঁর বড় ভাই সিমাইন বাস্কী বলেন, তার বড় চাচার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ কারনে তিনি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দিয়ে তিনি এই কাজটি করিয়েছেন। তারা উভয়ে বলেন, তার পরিবারের কেউ মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত নয়। তারা সকলেই কৃষিকাজ করে জীবনধারণ করেন। কোনদিন তারা মাদকের ব্যবসা করেননি। এমনকি এ বিষয়ে তার এবং তাদের পরিবারের কারো নামে থানায় কোন মামলা নেই।
আসামী রুবেল আরো বলেন, সকাল সাড়ে থেকে ১০টার দিকে তিনি জমিতে কাটা ধানের আটি বাঁধার কাজ করছিলেন। তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। পরে তিনি জানতে পারেন তার বাড়ি তল্লাসী হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক আব্বাস উদ্দিন, পুলিশের ফোর্স নিয়ে তার বাড়ির তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে বাস্কো ভেঙ্গে পুকুর লিজ দেয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
এদিকে স্বাক্ষী গোদাগাড়ীর পাথরঘাটার ছতিস এক্কার ছেলে উজির এক্কা ও ডাইংপাড়ার মৃত ফান্সেস সরেনের ছেলে মানুয়েল সরেন (মানু সরেন) বলেন, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না । তারা কাজ করতে মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময়ে রাস্তায় ধরে জোর করে তাদের নিকট হতে স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে জানান তিনি। তারা আরো বলেন, রুবেল ও তার পরিবারের কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়। যে অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা বলে জানান স্বাক্ষীরা।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর “ক” সার্কেল রাজশাহীর পরিদর্শক মোস্তফা জামান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগ সত্য নয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসাথে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা করা হয়েছে। এখানে আইনের কোন প্রকার ব্যত্বয় হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।#