1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:

রাজশাহীর তানোরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন ব্যাহত হবার আশঙ্কা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মমিনুল ইসলাম মুন………………………………………………………

রাজশাহীর তানোরে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন ব্যাহত ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা বলছে, প্রণোদনার মানহীন বীজ ও প্রয়োজনীয় কৃষি পরামর্শের অভাবে এই আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতিও একটা বড় কারণ।

 

জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদার চেয়ে তিন থেকে চার লাখ টন কম উৎপাদিত হয়। সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবেও নষ্ট হয় কিছু পেঁয়াজ। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে করতে হয় আমদানি। রবি মৌসুমে অন্য ফসল বাদ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই সরকার গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্ত্ত মানহীন বীজ, প্রয়োজনীয় কৃষি পরামর্শ না পাওয়াসহ নানাবিধ কারণে প্রকল্পের কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ব্যক্তি উদ্যোগে এই পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন অনেক কৃষক। কিন্ত্ত অধিকাংশক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনার সার-বীজ ব্যবহার করে কৃষকের কাঙ্খিত ফলন পাচ্ছেন না।

 

রাজশাহীর তানোরের কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় খরিপ মৌসুমে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে পেঁয়াজবীজ ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়। সেই সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জমিতে চাষ, সার প্রয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে কৃষকদের ২ হাজার ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপর চারা রোপণের পর অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যাবার কথা কৃষি বিভাগের। কিন্ত্ত কৃষি বিভাগের দায়িত্ব অবহেলার কারণে গত মৌসুমে কৃষকেরা প্রতারিত হয়েছিল।

 

চলতি মৌসুমেও খুব একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত।

 

উপজেলার কলমা ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পেঁয়াজ চাষি বলেন, জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে এখন গুটি আসতে শুরু করেছে। এন-৫৩ জাতের এই পেঁয়াজ ৬ থেকে ৮টিতেই ১ কেজি হয়। আকারে বড় হওয়ায় বিঘাপ্রতি ১৫০-২০০ মণ পেঁয়াজ হবার কথা। কিন্ত্ত প্রণোদনার বীজ মানসম্মত নয়, তাই ফলন হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

অপর কৃষক বলেন, এই সময়ে পেঁয়াজ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের তেমন সহযোগিতা না পাওয়ায় সেই শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তানোর উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বাড়ছে। এবিষয়ে উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে পেঁয়াজের ব্যবহার এক অপরিহার্য উপাদান।বাংলাদেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩৫-৩৬ লাখ টন, কিন্তু উৎপাদিত হয় প্রায় ৩২ লাখ টন। এ ছাড়া পচনশীল এই ফসল সঠিক সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হয়। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দেন।

 

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, রবি মৌসুমে অন্য ফসলকে বাদ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই সরকার গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি কমাতে ভবিষ্যতে এই উপজেলায় আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এমন পেঁয়াজ চাষ করা হবে।

 

এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, ‘এ বছর তানোর উপজেলায় ১৫০ বিঘা জমিতে ৯০০-১০০০ টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কৃষি অফিসের প্রত্যেক কর্মকর্তা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি, দেশের ঘাটতি মোকাবিলায় এই পেঁয়াজ অভূতপূর্ব অবদান রাখবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট