
মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সেমি ডিপ (গভীর নলকূপ) দখলকে কেন্দ্র করে এক নারী ও তার মেয়েকে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারী বর্তমানে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
ভুক্তভোগী মোসাঃ আলেয়া বিবি (৪০), স্বামী মৃত আব্দুল বারী, গ্রাম কৃষ্ণপুর, তানোর থানায় দায়ের করা এজাহারে জানান, তার স্বামী জীবিত অবস্থায় তানোরের ৩নং পাঁচন্দর ইউনিয়নের অন্তর্গত প্রাণপুর মৌজা (জেএল-৮২), আরএস-১০০ নং দাগে অবস্থিত ধানী জমি মোট ৫৬ একরের কাত ১৬ একর ও তদস্থ সেমি ডিপ স্থাপন করে পরিচালনা করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি নিজেই সেমি ডিপটির রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন। এজাহারে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় দুই ব্যক্তি নজরুল ইসলাম দুখু (৩৮) ও কামরুজ্জামান গতি (৪৫) ওই সেমি ডিপ দখলের উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে আলেয়া বিবি আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা করেন যার নম্বর ৮৫৪ পি/২০২৫ (তানোর)। আদালত সেমি ডিপ দখল না করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও প্রদান করেন।
আলেয়া বিবির অভিযোগ, ২৯ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা বাঁশের লাঠি ও লোহার হাতুড়ি নিয়ে সেমি ডিপের পাশে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ শুরু করে। তিনি বিষয়টি জানতে সেখানে গেলে ১ নম্বর আসামির নির্দেশে ২ নম্বর আসামি তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন। মাটিতে পড়ে গেলে তার গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার মেয়ে মোসাঃ তাসমিন আক্তার টিলা (২২) এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী আসামিরা লোহার হাতুড়ি দিয়ে আলেয়া বিবিকে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটায়।
স্থানীয় বাসিন্দা টিলা বিবি (২২), নাইমুল ইসলাম (৫২ )ও আফান (৫০)সহ আরও কয়েকজন এগিয়ে এসে মা ও মেয়েকে উদ্ধারে সহায়তা করেন। পরে আহত অবস্থায় তাসমিন আক্তারকে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং আলেয়া বিবির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেন চিকিৎসক। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার স্বাক্ষরিত এজাহারটি তাঁর ভাই মোঃ আব্দুস সোবহান থানায় জমা দেন বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#