আব্দুল বাতেন: মুক্তিযোদ্ধা, উন্নয়নের রূপকার ও একতার প্রতীক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের গর্ব অধ্যাপক মো: শাহজাহান মিঞা। রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন ও আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর অবদান তাঁকে কৃতি সন্তান হিসেবে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। — বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তিনি ধর্ম ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান (১৯৯৬-২০০১) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান (২০০১-২০০৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন দীর্ঘ ২৬ বছর এবং বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একতার প্রতীক গত ৪০ বছর ধরে অধ্যাপক শাহজাহান মিঞার নেতৃত্বে শিবগঞ্জ বিএনপি সুখ-দুঃখের পথ অতিক্রম করেছে। প্রতিকূল সময়েও তিনি শক্ত হাতে দলের হাল ধরে রেখেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি শিবগঞ্জ বিএনপির একতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। উন্নয়নের রূপকার শিবগঞ্জের উন্নয়নে তাঁর অবদান সর্বজনস্বীকৃত। অসংখ্য রাস্তা, সেতু, বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, ঈদগাহ, স্টেডিয়াম ও মন্দির নির্মাণে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। সোনামসজিদ স্থলবন্দর, বিশ্বরোড এবং শিবগঞ্জ পৌরসভার বাস্তবায়নে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে তিনি দুইবার আহত হন। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকার মানুষ তাঁকে স্নেহভরে “ক্যাপ্টেন শাহজাহান” নামে ডাকতেন। আন্দোলন-সংগ্রামে আপসহীন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রা সর্বক্ষেত্রেই তিনি রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
একাধিকবার কারাবরণ করেছেন, হয়েছেন কারা-নির্যাতিত। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনবার জেলে যান। ১৫-২০টি মিথ্যা মামলা সত্ত্বেও তিনি আন্দোলনের নেতৃত্ব থেকে পিছিয়ে যাননি। আগামী দিনের স্বপ্ন অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা শিবগঞ্জকে একটি উন্নত ও আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরিত করতে চান। তাঁর স্বপ্ন দেশে গণতন্ত্র ও শান্তির রাজনীতি ফিরিয়ে আনা, দুর্নীতি নির্মূল করা এবং তরুণদের জন্য মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।#