# গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভায় ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন একসঙ্গে পাওয়ায় দমবন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাঁরা। বকেয়া পরিশোধ ও প্রশাসনিক সংস্কারে উদ্যোগী হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে খুশির আমেজ, তৈরি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে পৌরসভার এ পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি একদিকে পৌর ভবন সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনে উদ্যোগ নেন, অন্যদিকে প্রশাসনিক সংস্কার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসের পর মাসের আটকে থাকা বেতন ছয় মাসে একসঙ্গে পরিশোধ করেন। এতে কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয় স্বস্তি ও আস্থা।
পৌরসভার কর আদায়কারী মানিক বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে বেতন না পেয়ে দারুণ কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এখন হাতে বকেয়া টাকা আসায় স্বস্তি ফিরেছে।” উচ্চমান সহকারী শফিকুল ইসলাম জানান, “সাবেক মেয়রের আমলে মাসের পর মাস বেতন আটকে ছিল। বর্তমান প্রশাসক ছয় মাসের বকেয়া একসঙ্গে দিয়ে আমাদের নতুন করে উদ্দীপনা দিয়েছেন।” সাঁটলিপিকার এটিএম সালাহ উদ্দীন বলেন, “দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পেয়ে আমি এতটাই খুশি যে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। প্রশাসক ফয়সাল আহমেদের এই পদক্ষেপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারে স্বস্তি : শুধু কর্মরত কর্মচারীরাই নয়, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারও নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। প্রতি মাসে নির্ধারিত হারে তাঁদের আনুতোষিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এতে অবহেলিত পরিবারগুলো আর্থিক স্বস্তি পাচ্ছে।
কর্মচারীরা অভিযোগের সুরে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক খামখেয়ালিপনার কারণে তারা মাসের পর মাস বেতন থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এতে কর্মস্পৃহা ভেঙে পড়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “বিগত মেয়রের কাছে হাতজোড় করেও ন্যায্য বেতন পাওয়া যায়নি। এই অচলাবস্থা তাঁর আগের মেয়র আমল থেকেই শুরু হয়েছিল।”
বর্তমানে গোদাগাড়ী পৌরসভার সব ধরনের লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। এতে হিসাব-নিকাশে এসেছে স্বচ্ছতা, নেই কোন দুর্নীতি ও অনিয়মের সুযোগ। কর্মকর্তাদের মতে, এতে যেমন কর্মচারীদের আস্থা ফিরেছে, তেমনি জনগণের চোখে পৌরসভার ভাবমূর্তিও উন্নত হয়েছে। #