নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিনসহ তিন শিক্ষককে যারা লাঞ্ছিত করেছেন, তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। একইসঙ্গে তারা এখনও কীভাবে আসন্ন রাকসু নির্বাচনে প্রার্থীতা করার সুযোগ পাচ্ছেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন শিক্ষকেরা।
অধ্যাপক মাঈন উদ্দিনসহ তিন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধনের আয়োজন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। মানববন্ধন থেকেই বক্তারা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ অ্যাখা দিয়ে ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানান।
মানবন্ধনে শিক্ষক-কর্মকর্তারা বলেন, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আগে ঘটেনি। আমরা এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান থেকে সরবো না।
বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কিছু সাবেক শিক্ষার্থীকেও দেখা যাচ্ছে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ওপর হামলার জন্য বর্তমান ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। আর সাবেক শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল করতে হবে। যারা শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে পারে, তারা ছাত্র নয়। তারা সন্ত্রাসী। এদের কয়েকজন আবার রাকসু নির্বাচনের প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার প্রশ্ন, প্রকাশ্যে এমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরেও তারা কীভাবে নির্বাচনে প্রার্থীতা করতে পারে? অবিলম্বে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাবিতে কর্মরতদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আগে থেকেই ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ কোটা বাতিল হলে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তা বহালের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন। সবশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর তারা জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন তারা। ফলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জরুরি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা হয়।#