1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ  রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ: ঢাকায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধভাবে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপাদন: মোবাইল কোর্টের অভিযান, প্রতিষ্ঠান বন্ধ ধোবাউড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বাগমারার তাহেরপুর টু নলডাঙ্গা সড়ক এখন মরন ফাঁদে পরিণত মা-মেয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে নাচোলের মরাফেলা গ্রামে গলব্লাডার অপারেশনে অবহেলা, ৫ দিন আইসিউতে থাকার পর মারা গেল রোগী, বিচার চায় স্বজনরা ধানের শীষে ভোট চেয়ে শিবগঞ্জে বিএনপির গণসংযোগ রূপসায় বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত ‎ মহানন্দা ট্রেনে কাটা পড়ে নাচোলে মহিলার মৃত্যু

তানোরে ইউপি কার্যালয়ে মদ্যপ অবস্থায় নাচগান করার অভিযোগ ইউপি সদস্যেদের বিরুদ্ধে

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৯৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে প্রকাশ্যে মদ্যপ অবস্থায় নাচগান করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ আগস্ট উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির দুই নেতা—ইউপি সদস্য ও পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার এবং আট নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাইনুল ইসলাম উল্লাসে মেতে আছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পদধারী আরও কয়েকজন ইউপি সদস্যকেও অংশ নিতে দেখা যায়।Open photo

এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গাফ্ফার ও মাইনুল ইউপি কার্যালয়ে বসে মদপানসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি তারা এই কার্যালয়কে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছেন।

তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “গাফ্ফার ও মাইনুলের বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা প্রায়ই ইউপি কার্যালয়ে মদপান ও অশোভন কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। এতে দলের কর্মীরা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। তাদের কারণে বিএনপির সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা দ্রুত তাদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।”

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মাবিয়া খাতুন, মহিলা আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সহসভাপতি ও নারী সদস্য বেবি আরা, এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গাফ্ফার। এ ঘটনায় স্থানীয় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।Open photo

কৃষ্ণপুর গ্রামের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত হন। অথচ তারাই যদি এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে জনগণের কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় থাকে? আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।”

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য আব্দুল গাফ্ফার বলেন, “ভাই আমরা একটু আনন্দ করেছি, কিন্তু বুঝতে পারিনি এমন কিছু হয়ে যাবে। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” একই কথা জানান ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলামও। তবে মহিলা ইউপি সদস্যা বেবি আরা বলেন, “আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।

এ বিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিয়াকত সালমান বলেন, “ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদও দেখেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে স্থানীয়দের দাবি, ইউপি কার্যালয়ের মতো সরকারি স্থানে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট