ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুফতি শরিফুল ইসলাম। নিজেকে একজন আলেম ও ‘বড় হুজুর’ দাবি করলেও, তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতার গুরুতর প্রশ্ন। বিতর্কিত অতীত ও রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতা জনশ্রুতি অনুযায়ী, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের শাসনামলে মুফতি শরিফুল ইসলাম ছিলেন আওয়ামী রাজনীতির ছত্রছায়ায়। তিনি এমপি দবিরুল ইসলাম, এমপি সুজন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর আশীর্বাদে সুবিধা নিয়েছেন।
জানা যায়, উকিল শ্বশুর মোহাম্মদ আলীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বানাতে তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন, যাতে রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করতে পারেন। বিদেশি অনুদানের বিতর্কিত বণ্টন অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন দেশ ও বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অনুদান প্রকৃত গরিব ও অভাবী মানুষের মাঝে পৌঁছানোর পরিবর্তে, মুফতি শরিফুল ইসলাম সেই অনুদানের বড় অংশ তুলে দিচ্ছেন তার বড় ভাই বেলাল উদ্দিনের হাতে। বেলাল উদ্দিন ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম কুখ্যাত সুদ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগ অনুসারে, এই অনুদান মূলত দেয়া হচ্ছে বেলাল উদ্দিনের সুদ ব্যবসার সাথে জড়িত মাঠকর্মী এবং যেসব মানুষ তার কাছ থেকে চড়া সুদের (অতিরিক্ত সুদ) ওপর টাকা নিয়েছে, তাদের মাঝে। ফলে ধর্মীয় খাতের জন্য প্রেরিত অনুদান সরাসরি সুদ ব্যবসার স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহার হচ্ছে, যা সামাজিক ও নৈতিকভাবে গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন একজন বিতর্কিত, নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ও রাজনৈতিক সুবিধাভোগী ব্যক্তি কীভাবে একটি ইসলামী আদর্শভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন । এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। অনেকেই মনে করেন, এতে হেফাজতের ভাবমূর্তিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বালিয়াডাঙ্গীর ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমাজ মুফতি শরিফুল ইসলামের মতো বিতর্কিত ও সুবিধাভোগী ব্যক্তির নেতৃত্বে হেফাজতের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা চান, প্রকৃত আলেম এবং নীতিবান ব্যক্তিদের হাতে হোক ধর্মীয় সংগঠনের দায়িত্ব, যেখানে দান, অনুদান এবং নেতৃত্ব সব কিছুই থাকবে স্বচ্ছতার আওতায়।#