# আবুল কালাম আজাদ ……………………………
নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার কারণে রাজশাহী নগরীর অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা সিভিল সার্জনের দপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে এ অভিযানে ২০টি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর রয়েছে ১২টি। বাকিগুলো উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এগুলো বন্ধই থাকবে।
বন্ধ করে দেওয়া এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে রাজশাহী মহানগর এলাকার ১২টি। এগুলো হলো- নিউ ইবনেসিনা হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার, স্পন্দন ডায়গনস্টিক সেন্টার, রেইনবো ডায়গনস্টিক সেন্টার, বিসমিল্লাহ ডায়গনস্টিক সেন্টার, বসুন্ধরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার, ফেয়ার ল্যাব ডায়গনস্টিক সেন্টার, এশিয়ান ডায়গনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ হাসপাতাল, আল-আমিন ডায়গনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, মেডিনোভা ডায়গনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল ল্যাব অ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিসেস এবং আল-মদিনা নার্সিং হোম।
এ ছাড়া অভিযান চালিয়ে জেলার চারঘাট উপজেলার গ্রীণ সিটি হাসপাতাল, বাগমারার নিউ বাগমারা ডায়গনস্টিক সেন্টার, সাফল্য ডায়গনস্টিক সেন্টার, ডক্টরস ডায়গনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক, কালামি হেলথ কেয়ার, বাঘার মঞ্জু ডিজিটাল ডায়গনস্টিক সেন্টার, নাজিয়া ডিজিটাল ডায়গনস্টিক সেন্টার এবং গোদাগাড়ীর সততা ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগর এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান শুরু হয়। এ সময় কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কৌশলে পালিয়ে যান। এ অভিযানে যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন পাওয়া যায়নি কিংবা পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নেই সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, যেসব হাসপাতাল-ক্লিনিক লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করে সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেগুলো আবেদনই করেনি এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স বা যন্ত্রপাতি নেই সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।#